ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘শ্রীপুর ট্যাবলেট’ খেয়ে ১ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ১০

প্রকাশিত: ০২:৩৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নাটোরের গুরুদাসপুরে ‘শ্রীপুর ট্যাবলেট’ খেয়ে ১ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ১০

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর ॥ নাটোরের গুরুদাসপুরে শ্রীপুর কোম্পানির ট্যাবলেট খেয়ে ১০ বছরের শিশু লাবনী মারা গেছে। ওই ঔষধ খেয়ে আরো ১০জন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গুরুদাসপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুরের ঝাউপাড়া গ্রামের রিকসা শ্রমিক আব্দুল লতিফের মেয়ে লাবনী (১০) শ্রীপুর কোম্পানী জিরিয়ান ও সুরঞ্জান নামের ঔষধ খাওয়ার পর বমি করতে থাকে। অতিরিক্ত বমি দেখে পরিবাবের লোকজন লাবনীকে সকাল ৯টার সময় গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সে মারা যায়। অপর দিকে ওই গ্রামের আরো অন্ততঃ ১০জন ঔষধ খেয়ে অসুস্থ্য হয়েছে। তাদের মধ্যে উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামের ভোলা ও তার ছেলে রিপন, আয়েনউদ্দিন, রোজিনা, নানা হাজী আবুল হোসেন আব্বেল ও তার নাতী রয়েল গুরুদাসপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে রয়েছে। তাদের মধ্যে রিপনের অবস্থা আশংকাজনক। অন্যান্যরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে ঔষধ সেবনকারীদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ট্যাবলেট খেয়ে শরীরের যন্ত্রণা নিবারনের জন্য অনেক পুরুষ-মহিলাকে পুকুরের পানিতে নেমে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিন্ন্যাবাড়ী, ঝাউপাড়া, জোলাগাড়ী এলাকায় রবিবার সন্ধ্যায় একটি মাইক্রোবাসে করে ওই ট্যাবলেট বিক্রি করা হয়েছে। কোম্পানীর প্রতিনিধির পরামর্শে খালি পেটে সকাল বেলায় ওই ট্যাবলেট খেয়ে তারা অসুস্থ হলে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ওই ট্যাবলেট গুলোতে মেয়াদ উল্লেখ নেই। শ্রীপুর ইউনানী দাওয়াখানার পরিচালক হাকিম ফরিদ উদ্দিন জানান, নাটোর এলাকায় আমাদের কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আমাদের কোম্পানির লেবেল নকল করে বিক্রয় করতে পারে। গুরুদাসপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক ডা. রবিউল করিম শান্ত বলেন, শ্রীপুরের ট্যাবলেটের কোন বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। এটা খেলে তাৎক্ষনিক নাড়ী ফুটাসহ কিডনী ড্যামেজ হয়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। শিশুটি ট্যাবলেটের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। গুরুদাসপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
×