ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিসিএস: কোটায় পূরণ না হওয়া পদ মেধাতালিকা থেকে নেয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০১:২৪, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিসিএস: কোটায় পূরণ না হওয়া পদ মেধাতালিকা থেকে নেয়ার সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক ‌॥ ৩৫তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় পূরণ না হওয়া ৩৩৮টি পদ ৩৬তম বিসিএসের মেধাতালিকা থেকে পূরণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। এছাড়া ৩৬তম বিসিএসে প্রাধিকার কোটার ৭৩৭টি পদে পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল এবং ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পাননি) ৮০২টি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ৩৫তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার অপূরণকৃত সংরক্ষিত পদ ৩৬তম বিসিএসের সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের শূন্য পদের সঙ্গে যোগ করে তা পূরণ এবং ৩৬তম বিসিএসে প্রাধিকার কোটার অপূরণকৃত পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেসব পদ খালি রাখার সিদ্ধান্ত আছে। পিএসসি বলেছে- ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি শূন্য পদের মধ্যে কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারের জন্য ১ হাজার ৬৩৮টি পদ আছে। এসব পদের মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪৯১টি, ১০ শতাংশ মহিলা কোটায় ১৬৪টি, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৮২টি পদ নিয়ে মোট ৭৩৭টি পদের বেশিরভাগই খালি থাকবে এবং তা সংরক্ষণ করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩৬তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত সরকারের শর্ত শিথিল করলে ওইসব পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে জানিয়ে এ বিষয়ে সরকারের অনুমোদন চায় পিএসসি। ৩৬তম বিসিএসের জন্য প্রাধিকার কোটার পদ সংরক্ষণের বিধান শিথিল করায় ওই বিসিএসের মেধাতালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে ওইসব পদ পূরণ করা হবে বলে জানান শফিউল আলম। তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা কোটা যা ছিল তাই আছে, শুধু কোটা শিথিলের সিদ্ধান্ত দিয়েছে মন্ত্রিসভা, সংবিধানেও কোটার বিধান আছে।” অন্যদিকে ৩৫তম বিসিএসে কৃতকার্য হয়েও যারা ক্যাডার পাননি তাদের মধ্য থেকে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট পদে ৩০২ জন এবং ধাত্রী পদে ৬০০ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলে ৫ হাজার ৫১৭ জন উত্তীর্ণ হলেও এদের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন ২ হাজার ১৫৮ জন। অন্যরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করলে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আর গত ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। এই বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ১৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত আছে। তবে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অনেক পদ শূন্য রয়েছে। বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পদ স্বল্পতায় অনেকেই বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পান না। এদের মধ্য থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দিচ্ছে সরকার। বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থী পাওয়া না গেলে ওইসব পদ খালি রাখতে ২০১০ সালে নির্দেশনা দেয় সরকার। এর আগে ৩২তম বিসিএসের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পূরণ না হওয়া এক হাজার ১২৫টি পদ ৩৩তম বিসিএসের মেধা তালিকা থেকে পূরণের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। সূত্র:বিডিনিউজ
×