ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাইক্লিং বাঁচাবে সময়

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাইক্লিং বাঁচাবে সময়

ফয়সাল সোহরাব পরাগ। পড়ছে ভুইঞা একাডেমিতে। ক্যাম্পাস থেকে বাসা একটু না, বলা যায় ভালই দূরে। প্রথম প্রথম কষ্ট করে, হেঁটে বা রিক্সায় করে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করত। কিন্তু এক পর্যায়ে তা বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়াল। শুধুই বিরক্ত হলেও হতো তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো সময়ের ব্যাপার। ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ভালই একটা সময় নষ্ট হতো। কথায় আছে, ঞরসব ধহফ ঞরফব ধিরঃ ভড়ৎ ঘড়হব. নিজের সুবিধা, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া আর সময় বাঁচানোর ঝামেলা মেটাতে কিনে ফেললেন চমৎকার রেসিং বাইসাইকেল। শুধু পরাগই নন এসব কথা চিন্তা করে অনেকেই এখন কিনেছেন সহজলভ্য বাইসাইকেল। দিন দিন ঢাকা শহরের যানজটের অবস্থায় প্রায় কুপোকাত সবাই। আর এই যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে বয়স ভেদে প্রায় অনেকেই কিনছেন বাইসাইকেল। বলতে গেলে এখন এটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের রেসিং বাইসাইকেল বের হয়েছে। তার মধ্যে গিয়ার যুক্ত রেসিং বাইসাইকেল বের হয়েছে। এগুলোর সবার নজরে বেশি পড়ছে। তাই অনেকেই কিনছেন এসব গিয়ার যুক্ত সাইকেল। সাইকেলে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন এদের জন্য সুবিধাজনকও বটে এসব গিয়ার যুক্ত সাইকেলের তাই জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। রয়েছে বিভিন্ন রংয়ের সাইকেলের চাহিদা। আবার বাহারি ডিজাইন দেখে আকৃষ্ট হচ্ছেন অনেকেই সাইকেলের ভিন্ন মডেল পছন্দের বিষয়ে। অনেকে স্টাইলিস্ট সাইকেলে পছন্দ করেন আর কেউ কেউ কিনেন সাদাসিধে। যাতায়াত সহজ তাই সাইকেল অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে। তবে তরুণদের মাঝেই জনপ্রিয় সাইকেল। তার মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা না বললেই নয়। তবে চাকরিজীবীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ব্যবহার সহজ এই দ্বি’চক্রযান। সকালের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে গেলে রাজধানীতে যানযটের ঝামেলায় পড়তে হয় সবাইকেই। আর এ সময় একটি সাইকেলে খুবই কাজের। কারণ সহজেই চলে যেতে পারেন গন্তব্যে সাইকেল চালিয়ে। পিছিয়ে নেই মেয়েরাও। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এখন ঝুঁকছেন যাতায়াত সুবিধাজনক এই যানের প্রতি। আবার অনেকে শরীরচর্চার জন্যও সাইকেল চালিয়ে থাকেন। বলা যায় বর্তমান সময়ে সময় হলো সোনার হরিণ। এই সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গেলে যানযটের শহরে সাইকেলই একমাত্র উপযোগী বাহন। সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইলে আপনার সাইকেলের ওপর নির্ভর করাটা আবশ্যক হয়ে উঠছে ক্রমেই। যেখানে যানজটের কারণে আপনাকে আটকে থাকতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে আপনি সাইকেল দিয়ে সহজেই চলে যেতে পারেন গাড়ির ফাঁকফোকর দিয়ে আপন গন্তব্যে। বাহারি সব সাইকেলের সঙ্গে রয়েছে বাহারি ডিজাইনের সব হেলমেট। যা অনাকাক্সিক্ষত কোন দুর্ঘটনায় আপনার মাথার সুরক্ষা দেবে। তাই বলা যায় রেসিং সাইকেল বর্তমানে ফ্যাশনের এবং সময় বাঁচানোর একটি অন্যতম মাধ্যম। অন্তত যানজটের বিরক্তিকর টাইম কিলিং থেকে বাঁচাবে আপনাকে। বর্তমানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানেই রয়েছে সাইকেলের শোরুম। বিশেষ করে পুরান ঢাকায় রয়েছে বাহারি সাইকেলের সব দৃষ্টিনন্দন শোরুম। অনেকে পুরান ঢাকাকে সাইকেলের শহর বলেও ডাকেন। এই নাম অনেক আগ থেকেই চলে আসছে লোকের মুখে মুখে। তাছাড়া বাড্ডা কিংবা গুলশানেও রয়েছে সাইকেলের বাহারি সব দোকান। দামটাও রয়েছে অনেক ধরনের। সাধ্যের মধ্যেই পেতে পারেন পছন্দের সাইকেল। ১৫ হাজার থেকে শুরু করে রয়েছে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত সাইকেলের দাম। ডিজাইন, রেসিং, গিয়ার আর রকমারি দামে নিজের পছন্দের সাইকেলটি কেনার উপায়টা বের করতে হবে নিজেকে। আর তাই সময় বাঁচানোর বড় এক উপায় হলো এই ফ্যাশনেবল সাইলেক। যা ভ্রমণেও দেয় অনাবিল আনন্দ।
×