বিডিনিউজ ॥ টাঙ্গাইলের এমপি মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে তার লাঞ্ছিত হওয়ার খবর ‘সঠিক নয়’।
রবিবার সকালে তিনি বলেছেন, ‘মন্ত্রী শুধু নেতা-কর্মীদের ভিড় আর সেøাগানে বিরক্ত হয়ে রাগারাগি করেছেন। যারা মিথ্যে সংবাদ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
রাজশাহীতে কর্মিসভা শেষে শনিবার রাতে ঢাকায় ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রান্তে যমুনা রিসোর্টে যাত্রাবিরতি করেন সেতুমন্ত্রী কাদের।
সেখানেই রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এমপি ছানোয়ারকে চড় ও ঘুষি মারেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে খবর প্রকাশিত হয়। সে সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংসদ সদস্য সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, অনুপম শাহজাহান জয় এবং টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা দলের সাধারণ সম্পাদককে স্বাগত জানাতে যমুনা রিসোর্টে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী রাত সাড়ে ৮টায় সেখানে পৌঁছার পর কর্মীরা সেøাগান ধরলে কাদের বিরক্ত হন এবং সেøাগান থামাতে বলেন।
রিসোর্টের ভেতরে যাওয়ার আধাঘণ্টা পর ওবায়দুল কাদেরকে ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় এবং তখনই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান। তবে ভেতরে কী ঘটেছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।
‘দলীয় সূত্রের’ বরাত দিয়ে একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়, সেতুমন্ত্রীকে রিসোর্টে আমন্ত্রণ করেছিলেন টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নতুন সাংসদ হাসান ইমাম খান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার কারণে ওই সময় যমুনা রিসোর্টে থাকতে পারেননি।
‘ওবায়দুল কাদের রিসোর্টের পদ্মা রেস্ট হাউসে ঢুকে সাংসদ হাসান ইমাম উপস্থিত নেই জানতে পেরে তাকে উদ্দেশ করে গালাগাল করেন। এ সময় টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ ছানোয়ার হোসেন হাসান ইমামের পক্ষ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে কিছু বলতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ছানোয়ার হোসেনকে তিনটি চড় ও ঘুষি মারেন। পরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে রেস্ট হাউস থেকে বের হয়ে যান।’ চলে যাওয়ার সময় রিসোর্টের ফটকে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাদের কাছে ‘দুঃখ প্রকাশ করেন’ বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই, যদি এমনটা ঘটেই থাকে তা হলে তা অনাকাক্সিক্ষত।’
যমুনা রিসোর্টে কী ঘটেছিল জানতে রবিবার সকালে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন তার এপিএস আবদুল মতিন। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য পরে ফোন করার পরামর্শ দেন তিনি।