ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশিষ্টজন ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পিকেএসএফের নতুন প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিশিষ্টজন ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে পিকেএসএফের নতুন প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষুদ্রঋণ অর্থায়নকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ‘পিপলস ভয়েস : স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ইমপ্লিমেনটেশন ইন বাংলাদেশ’ নামের এ প্লাটফর্মে তিনটি কমিটি থাকবে। কমিটিগুলো এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন নাগরিক কর্মসূচী হাতে নেবে এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কমিটিগুলোর পরামর্শক হিসেবে থাকবেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ প্লাটফর্মের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম। সেমিনারে প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭ লক্ষ্যের মধ্যে ষোলোটি অর্জনে বাংলাদেশ সক্ষম হবে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লক্ষ্যমাত্রাটি বৈশ্বিক সঙ্কট। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্মিলিতভাবে মোকাবেলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। সমাজের পেছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোত ধারায় অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পিকেএসএফের প্লাটফর্ম গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। বিভিন্ন অংশীজনের কার্যকর অংশগ্রহণে এটি এসডিজি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। আবুল কালম আজাদ বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নে বিদেশী পরামর্শকের দরকার নেই। আমরা জানি আমাদের কি করতে হবে। কাউকে পেছনে ফেলে না দিয়ে সবাইকে নিয়েই এসডিজি অর্জন করতে হবে। এসডিজির অগ্রগতি ও এ সংক্রান্ত সমন্বয় সাধনের জন্য আমরা একটি সফটওয়্যার উন্নয়নের চেষ্টা করছি। এতে মন্ত্রী, এমপি ও সচিবরা ঘরে বসেই সবকিছু জানতে পারবেন। সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, পিকেএসএফের কার্যক্রম এসডিজির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। পিকেএসএফ এসডিজির ১৭ লক্ষ্যের মধ্যে ১৩ এবং ১৬৯ টার্গেটের মধ্যে ত্রিশটিতে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখছে। এ প্রেক্ষিতে, পিকেএসএফ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ‘পিপলস ভয়েস : স্ট্রেনদেনিং এসডিজি ইমপ্লিমেনটেশন ইন বাংলাদেশ’ নামক একটি প্লাটফর্ম গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্লাটফর্মে তিনটি কমিটি থাকবে। এই কমিটিসমূহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন ও সমন্বয়ের ভূমিকা পালন করবে। সেমিনারে অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য শুধু দারিদ্র্যবিমোচন নয় বরং দীর্ঘমেয়াদে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের সারিতে উন্নীত করা। এই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অর্জনের পথে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে উন্নয়নের দৃঢ় ভিত্তি লাভ করবে। সেমিনারে জানানো হয়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পিকেএসএফ সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। পিকেএসএফ বর্তমানে বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্পের আওতায় সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে এক কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবারের উপযুক্ত, প্রশিক্ষণ, টেকসই কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে দারিদ্র্যবিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে।
×