ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গাড়ি ফেরত দিতে শুরু করেছে বিদেশী সংস্থাগুলো

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গাড়ি ফেরত দিতে শুরু করেছে  বিদেশী সংস্থাগুলো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাংকের কাছে গাড়ি তলব করার নোটিস প্রদানের পর গাড়ি ফেরত দিতে শুরু করেছে ঢাকার বিদেশী মিশনগুলো। রবিবার আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের সাবেক একজন কর্মকর্তার ব্যবহৃত সাদা রঙের টয়োটা সিডান গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে ফেরত দেয়া হয়। গুলশানের আইএলও অফিস হতে এ গাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, আইএলও ড্রাইভার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে গাড়িটি ড্রাইভ করে কাকরাইলস্থ শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়। এর আগে আইএলও থেকে শুল্ক গোয়েন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গাড়িটির ব্যবহারকারী ছিলেন ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা। তিনি আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য এই গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয় করেন। গাড়ির রেজি নং এজেএএলএ ০০৩৬। ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা গত ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এ্যাসাইমেন্ট শেষ করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুযায়ী তিনি বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে তার ব্যবহৃত কাস্টমস পাসবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও সেটি করেননি। জানা যায়, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশী সংস্থা কর্তৃক অবৈধভাবে ব্যবহৃত গাড়ির বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইএলও কান্ট্রি অফিস এ গাড়িটি ফেরত প্রদান করে। এর আগে গত ডিসেম্বর শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে আরেকজন আইএলও কর্মকর্তার গাড়ি এ দফতর কর্তৃক আটক করা হয়। গাড়িটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতরের হেফাজতে রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে গাড়িটির বিষয়ে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। এদিকে বিশ্বব্যাংক ১৬টি গাড়ি ফেরত দেয়ার বিষয়ে রাববার শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে এক জরুরী বৈঠকে মিলিত হয়। কিভাবে এসব গাড়ি ফেরত দেয়া হবে সে কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা।
×