ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একুশে পালনে চার স্তরের নিরাপত্তা ॥ আর্চওয়ে, সিসিটিভি

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

একুশে পালনে চার স্তরের নিরাপত্তা ॥ আর্চওয়ে, সিসিটিভি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকায় ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। কোন ধরনের হুমকি না থাকলেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিবসটি উপলক্ষে পোশাকে ও সাদা পোশাকে ৮ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে রবিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণসহ আশপাশের সব এলাকাজুড়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ মিনার ও এর আশপাশের এলাকার প্রতিটি ইঞ্চি সিসি টিভি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি টিভি ক্যামেরার এ ফুটেজগুলো মনিটরিং করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতিটি প্রবেশ গেটে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে এবং আগত দর্শনার্থীদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর দ্বারা দেহ তল্লাশি ও হ্যান্ডব্যাগ চেকিং এর আওতায় আনা হবে। মহিলাদের দেহ তল্লাশির ক্ষেত্রে প্রতিটি গেটে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, দিনটি উপলক্ষে মৎস্য ভবন থেকে নিউমার্কেট এবং দোয়েল চত্বর থেকে পলাশী মোড় পর্যন্ত এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শহীদ মিনারের মূল বেদিকেন্দ্রীক, শহীদ মিনারকেন্দ্রীক, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ মোড়, পলাশীর মোড় ও নীলক্ষেত মোড়কেন্দ্রীক ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। থাকবে ৪টি ওয়াচ টাওয়ার। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৃথক পৃথক প্রবেশ ও বহির্গমন গেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রাফিক বিভাগ তাদের নির্দেশনা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে শহীদ মিনারে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা মৎস্য ভবন থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। সাধারণ মানুষ পলাশীর মোড় থেকে প্রবেশ করতে পারবে। পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে হয়ে শহীদ মিনারের উত্তর গেট দিয়ে প্রবেশ করবে এবং পূর্ব গেট দিয়ে বের হয়ে রোমানা ক্রসিং হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে বহির্গমন করবে। দোয়েল চত্বর, জিমনেসিয়াম ও রোমানা ক্রসিং দিয়ে উল্টো পথে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে কেন্দ্র করে কোন হুমকি আছে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, সুনির্দিষ্ট কোন হুমকি নেই। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, গত বছর দোয়েল চত্বরে কোন একটি দলের কর্মীসদস্যরা অযাচিতভাবে প্রবেশের চেষ্টা চালায় ও দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লাঞ্ছিত করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। শুধু তাই নয় কেউ কেউ জুতা পায়ে শহীদ মিনারে মূল বেদির উপরেও উঠে পড়েছিল। যা নিন্দিত হয়েছিল সর্বমহলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বিস্মিত হয়েছিলাম। তাই যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে আমরা বদ্ধপরিকর। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় অভিজিত হত্যায় জড়িত দুই একজন গ্রেফতার হলেও বাকিদের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্লগার লেখক অভিজিত হত্যার তদন্ত কাক্সিক্ষত গতিতে চলছে। এরই মধ্যে মূল অভিযুক্তের দুই একজন পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই একজন গ্রেফতারের বাকি আছে। আশা করছি সময় মতো তদন্ত শেষ করতে পারব। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, নিñিদ্র নিরাপত্তায় বইমেলা ঘিরে ফেলা হয়েছে। সরজমিনে বইমেলায় বহুবার গিয়েছি। লেখক, প্রকাশক সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সবার সহযোগিতাও চেয়েছি।
×