ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বহিষ্কারযোগ্য অভিবাসীদের আওতা বাড়ানো হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বহিষ্কারযোগ্য অভিবাসীদের আওতা বাড়ানো হচ্ছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে সম্ভাব্য বহিষ্কারযোগ্য অভিবাসীদের আওতা বাড়িয়ে অভিবাসন কর্মকর্তাদের কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। দুইটি স্মারকলিপির খসড়ার ভিত্তিতে এ কথা জানা গেছে এবং ম্যাকক্লাসি বার্তা সংস্থা শনিবার প্রথম এক প্রতিবেদেনে এ কথা জানায়। খবর টেলিগ্রাফের। এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত দুইটি সূত্র রয়টার্স কে জানায়, এ দলিলটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি জন কেলি অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে হোয়াইট হাউস। তারা প্রত্যাশা করছে, পরবর্তী সপ্তাহের প্রথমদিকে এ আইন যক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগ (আইসিই) এবং শুল্ক ও সীমান্ত রক্ষা বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পাবে। এই আদেশের অধীনে হাজারো মানুষ দ্রুত বহিষ্কারের মুখোমুখি হবেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে যারা বিতাড়নের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এতে তাদেরও অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি। এই স্মারকলিপির নির্দেশনায় অভিবাসন কর্মকর্তাদের কর্মক্ষেত্রে দুইটি নির্বাহী আদেশ কার্যকর করতে আদশ দেয়া হবে। ট্র্রাম্প ওই আদেশ জানুয়ারির ২৫ তারিখে সই করেন। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী প্রবেশে বাধা দিতে ও আরও অবৈধ অবিভাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করতে তিনি ওই আদেশ দেন। একটি স্মারকলিপিতে আইসিই অভিবাসন কর্মকর্তা অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ওবামার নীতিকে অনুসরণ না করতে বলা হয়েছে, যার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসী ও দোষী সাবস্ত অভিবাসীদের বিতাড়নের প্রক্রিয়া দেখ ভাল করা। সাধারণ অভিবাসীদের পরিবর্তে যেসব অভিবাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি তাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হবে। নির্দেশনায় অভিবাসন কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার প্রদান করা হবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থান করা কাউকে শর্ত সাপেক্ষে বহিষ্কারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবে। এই নির্দেশনা ওবামার ২০১২ সালের নির্বাহী আদেশ বজায় রাখবে। ওই আদেশে ৭ লাখ ৫০ হাজর লোক রেহাই পেয়েছিল যার তাদের বাব-মার সহায়তায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। ডিএসিএ নামে পরিচিত এই নীতির পরিণতি নিয়ে হোয়াইট হাউসে তীব্র বিতর্ক হয়েছে বলে ওই আলোচনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে জানা গেছে। ট্রাম্প শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, তার জন্য ডিএসিএ ছিল একটা কঠিন বিষয়। আইসিই স্মারকলিপি বিবৃতি দিচ্ছে যে, যুক্তাষ্ট্রের ব্যক্তগত আইনের অধীনে অভিবাসীদের কোন অধিকার দেয়া হবে না। দ্বিতীয় স্মারকলিপিতে সিবিপি কর্মকর্তাদের সীমান্তে অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং অভিবাসীদের ধরে আটক রাখার নির্দেষ দেয়া হয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের মামলা নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ স্মারকলিপির খসড়ার কোন তথ্যকে প্রত্যাখ্যান করেনি কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছু প্রদানও করেনি। নির্দেশনার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র বলেছে এই খসড়া শুক্রবার বণ্টন করা হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে হোয়াইট হাউস শেষ মুহূর্তে আরেকবার পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছে তাদের। এটা হোয়াইট হাউসের কোন বিকল্প নির্দেশনা হিসেবে পরিচিত না। কেলি এক স্মারকলিপিতে বলেছেন যে, মেক্সিকো সীমান্তের অবৈধ অভিবাসন যুক্তরাষ্টের জন্য বড় ধরনের জাতীয নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে।
×