ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি থাকবে না ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দেশে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি থাকবে না ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে দেশে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি থাকবে না। ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুত উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২৬০ মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির প্রথম শর্ত হচ্ছে ‘গুড গবর্নেন্স’ বা সুশাসন। সুশাসন আছে বলেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অভাবনীয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়েব। রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাশেম খান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জিয়াউল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠককালে প্রতিনিধি দল বিদ্যুত নিরাপত্তা, এক্সসেস টু ফিন্যান্স এবং অবকাঠামোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী শিল্পায়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচী তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিশাল অর্জন যথাযথ ব্র্যান্ডিং হচ্ছে না। তিনি বলেন, শিল্প বিকাশে সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের পাশে ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশের জন্য বিসিক প্রতিষ্ঠা করা হবে। ১২৪ স্টিল পণ্যে এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় ১২৪টি স্টিল পণ্যে দীর্ঘমেয়াদী এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত। যা আগামী দুই মাসের মধ্যে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তা অরুণা শর্মা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, দেশীয় স্টিল কোম্পানিগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত। বিশ্লেষকরা মনে করছে, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কমদামী স্টিলে ভারতীয় শিল্প ক্ষতির মুখে পড়বে। এ শিল্পের ওপর দীর্ঘমেয়াদে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হলে ভারতের বাজার আরও শক্তিশালী হবে। স্টিল আমদানিতে বর্তমানে এন্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ আছে। এর মেয়াদ ছিল ৬ মাস। এটা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। এটা এখন দীর্ঘমেয়াদে করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। অরুণা শর্মা রয়টার্সকে জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে এটা কার্যকর হতে পারে। এক হিসাবে দেখা যায়, এপ্রিল এবং জানুয়ারির মধ্যে ভারতের স্টিল আমদানি ৩৭.৮ শতাংশ কমেছে। এর অর্থ হচ্ছে, অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার সঙ্গে ভারত স্টিল শিল্পেও সমভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এ শিল্পে অধিকাংশ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর নির্ভরশীল।
×