ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নিয়ামতপুরে ১৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নিয়ামতপুরে ১৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ২১ ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারীভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে থাকে। কিন্তু রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ৬৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এই উপজেলায় হাতেগোনা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজও কোন শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। ফলে গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস থেকে জানা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। উপজেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, উপজেলা সদরসহ ৮টি ইউনিয়নে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজসহ ২শ’ ৪টি সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে কলেজ রয়েছে ৬টি (পৃথকভাবে) এবং স্কুলের সঙ্গে কলেজ রয়েছে ২টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৪টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১শ] ২৮টি এবং মাদ্রাসা রয়েছে ২৬টি। কোন কলেজে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। বাঁকী ৩০টি বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। ১শ’ ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। তাও ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকায়। উপজেলার ২৬টি মাদ্রাসার মধ্যে কোন মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি। উপজেলার ২শ’ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। বাঁকী ১শ ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নির্মান করা হয়নি। অথচ ১৯৯৯ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং ২০০০ সাল থেকে পৃথিবীর সব দেশে এ দিবসটি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। ঠিক তখন উপজেলা প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নির্মান না হওয়ায় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ আলী মৃধা বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে নিজ নিজ তহবিল থেকে শহীদ মিনার তৈরী করার নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলায় ৪৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকীরা তাদের অর্থের অভাবে শহীদ মিনার তৈরী করতে পারেনি। তবে খুব শিঘ্রই শহীদ মিনার তৈরী করার জন্য জোড়ালোভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×