ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

’১৮ সালের মধ্যে এক শ’ কোটি ডলার রফতানি টার্গেট

সফটওয়্যার রফতানিতে ২০% নগদ সহায়তা দাবি উদ্যোক্তাদের

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সফটওয়্যার রফতানিতে ২০% নগদ সহায়তা দাবি উদ্যোক্তাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সফটওয়্যার রফতানিতে সরকারের কাছে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তার দাবি জানিয়েছে সফটওয়্যার শিল্পের উদ্যোক্তারা। বর্তমানে দেশ থেকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার রফতানি হচ্ছে। সরকারী সহযোগিতা পেলে এ বছরই এক বিলিয়ন ডলারের বাজার পাওয়া যেতে পারে। যদিও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার রফতানির টার্গেট নিয়েছে। বর্তমানে এ খাতে সাত লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে এ খাতে ২০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আইসিটি সেক্টর হবে ভবিষ্যতে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম খাত। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, সফটওয়্যার রফতানি করে ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করার টার্গেট নিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যক্তি উদ্যোগে এই শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই খাত থেকে বছরে ৬৪০ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। ইতোমধ্যে সফটওয়্যার শিল্পে সরকারী সহযোগিতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সফটওয়্যার রফতানির কাজ শুরু করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সফটওয়্যার শিল্পের দ্রুত প্রসারের জন্য সরকার এ খাতে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ার চিন্তা করছে। বর্তমানে উদ্যোক্তাদের নগদ সহায়তা না দেয়া হলেও অন্য সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তবে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ যাতে আরও দ্রুত ঘটে তার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সম্ভাবনাময় এ খাত থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। ভবিষ্যতে সেক্টরটি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হবে। দেশে যত বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে তত বেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদও তৈরি হবে। এভাবে দেশে দক্ষ জনবল তৈরির কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ-তরুণীরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। বিপ্লব ঘটেছে সফটওয়্যার শিল্পে। দেশে তৈরি সফটওয়্যার বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হচ্ছে। সরকারের উদ্যোগ না থাকলে বেসরকারী পর্যায়ে এমন সাফল্য আসতে হয়ত আরও অনেক সময় লেগে যেত। প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হচ্ছে আইটি পার্ক। কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু আইসিটি পার্কের এক অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ তৈরি করার জন্য বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচী চলছে। ইউনিয়ন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। বেসিস জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে সফটওয়্যার রফতানিতে তারা সহযোগিতা দেবে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরকে আইসিটি ডেস্কের দায়িত্ব দিলে তিনি একদিকে যেমন বিদেশে বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং করবেন, পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি বাজার তৈরি ও সম্প্রসারণ করতে পারবেন। এছাড়া বেসিসের ‘বাংলাদেশ নেক্সট’ ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সেক্টর বিদেশে তাদের ব্র্যান্ডিং করতে পারবে। সফটওয়্যার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই শিল্পের বিকাশ ঘটেছে খুব দ্রুত। দেশে ১১ শ’ প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার তৈরি করছে। নিজেদের উদ্যোগেই তারা দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বাজারজাত করছে। সফটওয়্যার খাতটি আগের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে। তাছাড়া এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা যেমন যোগ হয়েছে তেমনি বিদেশীদের আস্থাও বেড়েছে আমাদের ওপর। সে কারণে রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। ২০১৮ সালে এক বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বেসিস।
×