ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার জের ধরেই খুন হয় আশা সিংহানিয়া

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পরকীয়ার জের ধরেই খুন হয় আশা সিংহানিয়া

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে হয়ত রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী তার স্ত্রী আশা সিংহানিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা বলেছেন রাকেশ সিংহানিয়া বাবলীর বাবা স্বজন কুমার সিংহানিয়া ও মা মীরা সিংহানিয়া। শুক্রবার রাতে সৈয়দপুর শহরে মাড়োয়ারীপট্টির নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে মীরা সিংহানিয়া জানান, আমার ছেলে রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী অত্যন্ত নিরীহ। তার একটা চোখ অন্ধ। ফলে আমরা নিজেরাই টাকা পয়সা খরচ করে ছেলেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার উপজেলার তালোড়া গ্রামের মৃত গোপাল আগারওয়ালার মেয়ে আশা সিংহানিয়ার সঙ্গে ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর বিয়ে দিয়েছিলাম। সেখানে যৌতুক চাইবার প্রশ্নই উঠে না। অথচ আশার বড় ভাই দিলীপ আগরওয়ালা অভিযোগ করেছেন, যৌতুকের দাবিতে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। যা মিথ্যে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে স্বজন সিংহানিয়া বলেন, আমার ছেলে রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী ভাল ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমার বউমা আশার সিংহানিয়া তার মেজ দুলাভাই ব্রিজেশ রামেকা লালীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। দুলাভাইয়ের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। লালীর স্ত্রী মারা যায় চার বছর আগে। দুলাভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের বিষয়টি আশার বাপের বাড়ির লোকের সবাই জানতেন। এছাড়া তাদের মোবাইল নম্বর চেক করলেও পরকীয়া প্রেমের প্রমাণ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, এই পরকীয়ার প্রেমের কারণেই বৌমা আশা সিংহানিয়া বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য তিন মাস ধরে আমার ছেলেকে চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু আমার ছেলে তার স্ত্রীকে খুবই ভালবাসত। কাজেই সে বিয়ে বিচ্ছেদে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেছিল। তিনি ধারণা করছেন ওই ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে আশা সিংহানিয়া মারা যায়।
×