স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ কমিটি ঘোষণা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়ার পর অবশেষে সমঝোতার বরফ গলতে শুরু করেছে রাজশাহী নগর বিএনপিতে। এরই অংশ হিসেবে দেড় মাস পর সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুকে সঙ্গে নিয়ে মহানগর বিএনপির কর্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তালাবদ্ধ কার্যালয় খুলে দেন বিএনপি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক সহ-সভাপতি নজরুল হুদা। তবে এ সময় মহানগর বিএনপির নব ঘোষিত কমিটির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বা তার কোন কর্মী সমর্থককে সেখানে দেখা যায়নি।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, একটি গোষ্ঠী দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভুল বুঝিয়ে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির পর চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে। তিনি সব ঠিক করে দেবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন।
শফিকুল হক মিলন বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। ওই কমিটিতে রাজশাহী বিএনপির শীর্ষ নেতা সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুসহ দলের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই নিয়ে নিজেদের মধ্যে আর ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। আগামী দিনে মিনুর নেতৃত্বেই রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সবাই মাঠে থাকবেন বলেও জোর দাবি করেন এই বিএনপি নেতা।
এদিকে, মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের তালা খুলে দেয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেন, তাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, কোন্দল নেই। কমিটি ঘোষণার পর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির জের ধরে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। তবে চেয়ারপার্সনের নির্দেশে তিনি বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনরতদের বুঝিয়ে এক টেবিলে এনেছেন।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর এ মাসের মধ্যেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিনুপন্থী বলে পরিচিত বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শহীদুন নাহার কাজী হেনা, সাইদুর রহমান পিন্টু, মনিরুজ্জামান শরীফ, ওয়ালিউল হক রানা, বিএনপি নেত্রী মুসলেমা বেলী, রবিউল আলম মিলু প্রমুখ। দেড় মাস আগে কেন্দ্র থেকে বিএনপির জেলা ও নগর কমিটি ঘোষণার পরদিন ২৮ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় মিনুপন্থীরা। এ সময় মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিতে মিনুকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা।