ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নান্দাইলে শ্যামল ও রাশিদ হত্যায় জড়িতদেও গ্রেফতার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নান্দাইলে শ্যামল ও রাশিদ হত্যায় জড়িতদেও গ্রেফতার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ নান্দাইলে চাঞ্চল্যকর শ্যামল চন্দ্র দাস ও আব্দুর রাশিদ মিয়া হত্যা মামলার আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করেছে নিহতের স্বজনরা। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, ২০০৬ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার মেয়াদে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে আসামিরা নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামের সুবোধ চন্দ্র দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাসকে হত্যা করে। স্থানীয় বুজাইবুড়ি বিল থেকে ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। থানা পুলিশ ছাড়াও ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি এবং সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যাকা-ের কোন ক্লু বের করতে না পেরে ২০১৪ সালে আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, শ্যামলের এই হত্যাকা- দেখে ফেলায় আসামিরা একই গ্রামের হতদরিদ্র আব্দুর রাশিদ মিয়াকেও হত্যা করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। আব্দুর রাশিদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ থাকলেও কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের তৎকালীন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডাঃ ইসমাইল হোসেন ‘আত্মহত্যা করেছে’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয়। ফলে পুলিশী তদন্তে আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। অভিযোগ তৎকালীন পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আসামিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে শ্যামল ও রাশিদ হত্যা মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিয়ে ধামাচাপা দেয়। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই মামলা তদন্তকালে চলতি সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নান্দাইলের আচারগাঁও গ্রামের অলি নেওয়াজের ছেলে আব্দুর রশিদ এবং মফিজের ছেলে আব্দুর রশিদ নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করলে দীর্ঘ ১১ বছর পর শ্যামল ও রাশিদ হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচিত হয়। আদালতে এই দুই আসামি হত্যাকা-ে মোট ১৩ জন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বলে জানায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক। হত্যাকা-ে জড়িত অপর ১১ আসামি এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শ্যামল ও রাশিদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
×