ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা জীববিজ্ঞান

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা জীববিজ্ঞান

Taslima Afroz Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01717-293619 e-mail: [email protected] দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবকোষ ও টিস্যু ইতোপূর্বে তোমরা উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের প্রধান অঙ্গানুসমূহের মধ্যে কোষপ্রাচীর, কোষঝিল্লি, এবং সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুসমূহের মধ্যে - মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড ও সেন্ট্রোসোম সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা: সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুসমূহের মধ্যে- রাইবোসোম, গলজিবস্তু, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, কোষ গহবর ও লাইসোসোম এর বর্ণনা ও কাজ সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুসমূহের বর্ণনা ও কাজ: ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায় এমন কিছু সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুর সাথে এবার আমরা পরিচিত হব ৪. রাইবোসোম (জরনড়ংড়সব): সাইটোপ্লাজমে মুক্ত অবস্থায় বিরাজমান অথবা ক্লোরোপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ডিয়ার ভেতরে, নিউক্লিয়ার মেমব্রেন এবং এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের গায়ে যে সব রাইবোনিউক্লিও-প্রোটিন কণা থাকে এবং যার মধ্যে প্রোটিন এটি পর্দাবিহীন অঙ্গাণু। অবস্থান: প্রাণি ও উদ্ভিদ উভয় প্রকার কোষেই এদের পাওয়া যায়। কাজ: ক্স প্রধানত আমিষ সংশ্লেষণে সাহায্য করে। ক্স কোথায় আমিষ সংশ্লেষণ হবে তার স্থান নির্ধারণ করা। ক্স প্রোটিনের পলিপেপটাইডচেইন সংযোজন এই রাইবোসোমে হয়ে থাকে। ক্স এছাড়া রাইবোসোম এ কাজে প্রয়োজনীয় উৎসেচক সরবরাহ করে থাকে। ৫.গলজি বস্তু (এড়ষমর নড়ফু): অবস্থান: গলজি বস্তু প্রধানত প্রাণিকোষে পাওয়া যায়। তবে বহু উদ্ভিদকোষেও এদের দেখা যায়। গঠন: এটি সিসটার্নি ও কয়েক প্রকার ভেসিকল নিয়ে গঠিত। এর পর্দায় বিভিন্ন উৎসেচকের পানি বিয়োজন সম্পন্ন হয়। জীবকোষে বিভিন্ন পদার্থ নিঃসৃতকরণের সাথে এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কাজ: ক্স হরমোন নিঃসরণেও এর ভূমিকা লক্ষ করা যায়। ক্স কোনো কোনো বিপাকীয় কার্যের সাথে এরা সম্পর্কিত। ক্স কখনও কখনও এরা প্রোটিন সঞ্চয় করে রাখে। ৬. এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (ঊহফড়ঢ়ষধংসরপ ৎবঃরপঁষঁস): অবস্থান: উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষেই এরা উপস্থিত থাকে। গঠন: কোষে উৎপাদিত পদার্থসমূহের প্রবাহ পথ হিসেবে এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম ব্যবহৃত হয়। এগুলো কখনো কখনো প্লাজমা মেমব্রেনের সাথে যুক্ত থাকে, তাই ধারণা করা হয় যে এক কোষ থেকে অন্য কোষে উৎসেচক ও কোষে উৎপাদিত অন্যান্য দ্রব্যাদি এর মাধ্যমে চলাচল করে। কাজ: ক্স মাইটোকন্ড্রিয়া, কোষগহবর ইত্যাদি সৃষ্টিতে এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ক্স এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম এর আবরণীর গায়ে প্রায়ই রাইবোসোম লেগে থাকে, তাই স্বাভাবিকভাবেই সব স্থানে আমিষ সংশ্লেষণের ঘটনা ঘটে। ৭. কোষ গহবর (ঠধপঁড়ষব) সাইটোপ্লাজমে কোষের মধ্যে যে আপাত ফাঁকা স্থান দেখা যায় তাই কোষের গহবর। অবস্থান: প্রাণিকোষে কোষ গহবর সাধারণত অনুপস্থিত থাকে, তবে যদি কখনও থাকে তা আকারে ছোট হয়। গঠন: বৃহৎ কোষ গহবর উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন প্রকার অজৈব লবণ, আমিষ, শর্করা, চর্বিজাতীয় পদার্থ, জৈব এসিড, রঞ্জক পদার্থ, পানি ইত্যাদি এই কোষরসে থাকে। কাজ: এরা প্রধান কাজ কোষরস ধারণ করা। ৮. লাইসোসোম (খুংড়ংড়সব): নিউক্লিয়াস বা কোষে কোষের সাইটোপ্লাজমে একক পর্দাবেষ্টিত, আর্দ্রবিশ্লেষক এনজাইমপূর্ণ, প্রায় গোলাকার, ক্ষুদ্র থলির মতো যেসব অঙ্গাণু কোষীয় পরিপাকে সাহায্য করে তাদের লাইসোজোম বলে। অবস্থান: প্রাণীতে অধিক পরিমাণ লাইসোজোম থাকলেও অধিকাংশ উদ্ভিদকোষে লাইসোজোম থাকে না। কাজ: ক্স লাইসোসোম জীবকোষকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। ক্স এর উৎসেচক আগত জীবাণুগুলোকে হজম করে ফেলে। ক্স এর পরিপাক উৎসেচকগুলো একটি পর্দা দ্বারা আলাদা করা থাকে তাই অন্যান্য কোষ এর সংস্পর্শে এলেও হজম হয় না। পরবর্তীতে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুসমূহের মধ্যে নিউক্লিয়াস বা কেন্দ্রিকা (ঘঁপষবঁং) এর বর্ণনা ও কাজ আলোচনা করা হবে।
×