ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মূল : ব্রায়ান ফাং

যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কম দামে ইন্টারনেট থাকছে না

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কম দামে ইন্টারনেট থাকছে না

যুক্তরাষ্ট্রে নিম্ন আয়ের লোকদের কম দামে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার যে ব্যবস্থা ছিল তা আর থাকছে না। সেখানকার ৯টি কোম্পানিকে বলে দেয়া হয়েছে যে গরিবদের জন্য সাধ্যমতো খরচে ইন্টারনেট যোগানোর ফেডারেল কর্মসূচীতে তাদের আর অংশ নিতে দেয়া হবে না। সম্প্রতি এফসিসির চেয়ারম্যান অজিত পাই এ কথা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পাইয়ের পূর্বসূচী ডেমোক্র্যাটিক দলের টম হুইলারের সিদ্ধান্ত আমূল পাল্টে দেয়া হলো এবং কোম্পানিগুলোও গরিব আমেরিকানদের কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার ক্ষমতা হারাল। পাই এক বিবৃতিতে বলেন, আগের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তা ছিল মধ্যরাতের সিদ্ধান্ত। শেষ মুহূর্তের এই পদক্ষেপ গ্রহণের সময় এর পেছনে সংখ্যাগরিষ্ঠ কমিশনারের সমর্থন ছিল না। সুতরাং এ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কোন বাধ্যবাধকতা আমাদের নেই। কর্মসূচীটির নাম ‘লাইফ লাইন’। এতে ব্যবস্থা আছে যে নিবন্ধিত পরিবারগুলোকে মাসে সোয়া ৯ ডলারের ঋণ দেয়া হবে এবং সেই ঋণ ঘরের ইন্টারনেট সার্ভিস কেনার কাজে ব্যবহার করা যাবে। এফসিসি লক্ষ্য করেছে যে বাড়িতে ব্রডব্যান্ড সার্ভিস নেই এমন ১ কোটি ৩০ লাখ আমেরিকান লাইফ লাইন সার্ভিসের যোগ্যতা লাভ করতে পারে। লাইফ লাইন কর্মসূচীতে মোটামুটিভাবে ৯শ’ সার্ভিস প্রোভাইডার অংশ নিয়েছে। গোড়ার দিকে লাইফ লাইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অন্যতম কাজিত ইনকর্পোরেটেডের কাছে খবরটি বিরাট আঘাত হয়ে দেখা দেয়। কাজিতের প্রতিষ্ঠাতা কাজিত নীল বলেন ‘আমি সেই সব ছেলেমেয়েকে নিয়েই সবচেয়ে ভাবিত যাদের সেবায় আমরা নিয়োজিত। আমরা ৪১টি রাজ্য ও কলাম্বিয়া জেলায় স্কুল এলাকায় শিক্ষামূলক কাজে ব্রডব্যান্ড যোগাই যাতে করে গরিব ছেলেমেয়েরা হোমওয়ার্ক করতে পারে।’ সম্প্রতি এফসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পাই ডিজিটাল বিভাজনকে তার নীতির মূল্য বিষয়ে পরিণত করেন। বিপুল সংখ্যক আমেরিকানের ইন্টারনেট সার্ভিস থাকলেও মার্কিন ব্রডব্যান্ড ব্যবহারে সুস্পষ্ট ব্যবধান রয়ে গেছে। বিশেষ করে সিনিয়র নাগরিক গরিব ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে এই ব্যবধান প্রকট। এফসিসি কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রথম ভাষণে পাই ডিজিটাল বিভাজনকে মোকাবেলা করাই তার প্রধান কাজ হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু গরিবদের কম খরচে ইন্টারনেট দেয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ফলে গরিব আমেরিকানদের ইন্টারনেট ব্যবহার কঠিনতর হয়ে উঠবে। পাবলিক নলেজ নামে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠনের সভাপতি জেনি কিমেলম্যান বলেন, মার্কিন সমাজের সবচেয়ে বাস্তব সত্য একটা ব্যাপার হলো এই যে হাইস্পীড ইন্টারনেট এখানে মধ্যবিত্ত ও তার নিচের শ্রেণীর লোকদের কাছে অতি ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই এই অবস্থায় ও সময়ে লাইফ লাইন কর্মসূচী সীমিত করার যে কোন উদ্যোগ ডিজিটাল বিভাজনকে বাড়িয়ে তুলবে। বিভাজন মোকাবেলায় কোন রকম ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে না। সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
×