ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে পিপীলিকা বাংলা উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চট্টগ্রামে পিপীলিকা  বাংলা উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্কুল-কলেজে এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। আগের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা এখন দ্বিগুণ, উন্নয়নশীল দেশের জন্য যা ভাল দিক। বর্তমান সরকারও চায় মেয়েরা শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। এতেই নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন। শুক্রবার চট্টগ্রামে ‘পিপীলিকা বাংলা উৎসব-২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সরকারের আইসিটি ডিভিশন, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্বিক সহযোগিতা ও মিডিয়া গ্রাফির ব্যবস্থাপনায় ‘শব্দকল্প দ্রুম উদযাপন কমিটির নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও লেখক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। ‘বাংলা নিয়ে নানান খেলা সারাবেলা’ সেøাগানে এতে ৩৬টিরও বেশি স্কুল কলেজের পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষায় প্রথম ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে। মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা যখন স্কুল পড়ি তখন ছাত্রী এত ছিল না। ছাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এখন ছেলে মেয়ে সমানে সমান। এতেই বোঝা যায় মেয়েরা সকলক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও তাই চায়। সে কারণে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশের জন্য মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া ভাল দিক। সভাপতির বক্তব্যে ড. জাফর ইকবাল বলেন, বাংলা ভাষার ওপর দক্ষতা বাড়ানোই পিপীলিকা বাংলা উৎসবের উদ্দেশ্য। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে ফেসবুক। সেখানে বাংলিশ ভাষা ব্যবহার হয়। এতে ভাষার যে কত ক্ষতি হচ্ছে তা তারা বুঝতে পারছে না। এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে এক লাইন বাংলা লিখব। কিন্তু তা যেন শুদ্ধভাবে লেখা হয়। চসিকের একুশে বইমেলা শুরু স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আয়োজনে আজ শনিবার শুরু হচ্ছে ১১ দিনব্যাপী একুশে বইমেলা। নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট চত্বরে বিকেলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মেলা উদ্বোধন করবেন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বইমেলা ছাড়াও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিদিনই থাকছে নানা আয়োজন। চসিক জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, শুক্রবার থেকে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিনই সকাল দশটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত থাকছে একুশের আয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে বইমেলা, আলোচনা সভা, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশু কিশোরদের নৃত্যানুষ্ঠান, লোকসঙ্গীত, নাটক, কবি গান, কবিতা ও ছড়া পাঠ, আবৃত্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শন। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং গুণী ব্যক্তিত্বদের একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও সাহিত্য পুরষ্কার প্রদান করা হবে। সমাপনী দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার এবং শ্রেষ্ঠ প্রকাশনা ও স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হবে। সাইকেল শোভাযাত্রা নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ একুশে পরিষদ, নওগাঁ জেলা শাখার উদ্যোগে বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও ভাষা সংগ্রামীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য ‘সাইকেল শোভাযাত্রা’ হয়েছে। এর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক। জেলা একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে পুলিশ লাইনস থেকে কেডি স্কুল পর্যন্ত ‘সাইকেল শোভাযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। দেশের দু’বারের প্রথম এভারেস্টজয়ী এমএ মুহিত এবং দেশের প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার এ সাইকেল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে কর্মসূচীকে আকর্ষণীয় করে তোলেন। ঘুড়ি উৎসব নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ॥ সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুদের খুঁজে এনে শিক্ষা থেকে শুরু করে নানা প্রগতিশীল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে গড়ে উঠা হবিগঞ্জের ‘দুই শূন্য শূন্য ছয় পরিবার’ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ‘ঘুড়ি উৎসব ও বসন্ত বরণ মেলা’। শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের জালাল স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য আবু জাহির। ওয়াসিফ ফারজাদের সভাপতিত্বে এবং খাইরুল আলম শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব সফিউল আলম, সাংবাদিক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন, প্রেসক্লাব সভাপতি গোলাম মোস্তফা রফিক।
×