ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষের কর্মীকে মারধর

রাবিতে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাবিতে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে উত্তেজনা

রাবি সংবাদদাতা ॥ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার আব্দুস সালাম লোক প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। মারধরকারী সাদ্দাম হোসাইন রাবি ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সস্পাদক এবং বর্তমান সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। মারধরের প্রতিবাদে হল ফটকে তালা লাগিয়ে সাদ্দাম হোসাইনসহ হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে বাকির অনুসারীরা। এ ঘটনার জের ধরে গভীর রাতে ওই হলে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, মাদার বখ্শ হলে রাজনৈতিক ব্লক করার বিষয়ে আলোচনা করতে সাদ্দাম হোসাইন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাত ১১টার দিকে মাদার বখ্শ হলের অতিথি কক্ষে আলোচনায় বসেন। এ সময় তারা ২১১ নম্বর কক্ষের ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুস সালামকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। রাবি শাখার সভাপতি ও সম্পাদকের মোবাইল নম্বর না থাকায় সভাপতির অনুসারী সাদ্দাম একপর্যায়ে বাকির অনুসারী সালামকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল গেটে তালা ঝুলিয়ে ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান নেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি। সেখানে বহিরাগত কয়েকজনকেও দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, অন্য আবাসিক হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১২টার দিকে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা বাকি বিষয়টি মানতে নারাজ হন। একপর্যায়ে বাকি মোবাইলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের আশ্বাসে শান্ত হয়। কিছুক্ষণ পর তৃতীয় ব্লক থেকে পরপর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মী হলে অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
×