ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দাবি বাস্তবায়ন হলে আরো কমে মিলবে গরুর মাংস

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দাবি বাস্তবায়ন হলে আরো কমে মিলবে গরুর মাংস

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বর্তমানে যে দামে গরুর মাংস কিনে খাচ্ছেন ক্রেতারা এর চেয়ে অনেক কমেই গরুর মাংস খাওয়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, আমাদের সব দাবি পুরোপুরি মানলে মাংসের কেজি ৪০০ টাকার নিচে নেমে আসবে বলে আমি আশা করি। আর কয়েকটি দেশ থেকে ঠিকঠাক মত বৈধ পথে গরু আমদানি করা গেলে এই দাম নেমে আসবে ৩০০ টাকার নিচে। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আলোচনার ডাক পেয়ে নতুন কোনো কর্মসূচি না দিয়ে আলোচনার টেবিলে দাবি আদায়ের প্রত্যাশার কথা বলেছেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। রবিউল আলম বলেন, শনিবার পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট ছিল। আমরা তা পালন করব। আপাতত নতুন কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। আমরা আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। গাবতলী গরুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তাকে অপসারণসহ চার দফা দাবিতে গত সোমবার মাংস বিক্রেতাদের ছয় দিনের এই ধর্মঘট শুরু হয়। তাদের এই ধর্মঘটের কারণে ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের মাংসের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে। গরু ও খাশির মাংসের সংকটের কারণে রাজধানীতে দাম বেড়েছে মুরগীর। এছাড়াও রবিবার ঢাকায় সরকারঘোষিত ‘মিটলেস ডে’ হওয়ায় এমনিতে সেদিন মাংস জবাই বন্ধ থাকে। তবে শনিবার পর্যন্ত ধর্মঘটের পর এখনই নতুন কর্মসূচি না থাকায় রবিবার ঢাকায় গরু ও খাসির মাংস বিক্রি করা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে সমিতির নেতাদের কথায়। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রবিউল জানান, শনিবার পর্যন্ত তাদের ধর্মঘটের কর্মসূচি ছিল, তা পালন করা হবে। আপাতত নতুন কোনো কর্মসূচি তারা দিচ্ছেন না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে রবিবার তাদের বৈঠক। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে দাবি মেনে নেওয়া হবে বলেই তারা আশা করছেন। তিনি অারো বলেন, দাবি মানা না হলে এরপর ধর্মঘট হবে সারা দেশে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিন, তা না হলে ইচ্ছেমত দামে মাংস বিক্রি করার হুকুম দিন। ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জেল জরিমানা বন্ধ রাখুন। ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি আর দুর্নীতিকে মাংসের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন এই ব্যদবসায়ী। ট্যানারি মালিকদের ‘সিন্ডিকেটের কারণে’ চামড়ার দাম কমে যাওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব বলেন, গরুর যে চামড়া আমরা এক সময় ৪০০০-৫০০০ টাকায় বিক্রি করতাম, সেই চামড়া এখন ২০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। ছাগলের যে চামড়া আমরা এক সময় ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি করতাম, তা এখন ২০-৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল বারেক ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
×