ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে আমতলী বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সরকারী কলেজের দায়িত্ব পেলেন!

প্রকাশিত: ১৯:৫৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অবশেষে আমতলী বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সরকারী কলেজের দায়িত্ব পেলেন!

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ আমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মজিবুর রহমান অবশেষে সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন। জানাগেছে, আমতলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান। ওই কলেজটি গত বছর ৭ এপ্রিল জাতীয়করন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রনালয় চাখার সরকারী শের-এ-বাংলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ রেজাকে সংযুক্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ দেয়। গত বছর ১১ জুলাই মাসুদ রেজা আমতলী সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেছেন। ওই সময় অধ্যক্ষ মজিবুব রহমান ছুটিতে থাকায় চলতি দায়িত্বে ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস। তিনি মাসুদ রেজাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ ঘটনায় বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান উচ্চ আদালতে সংযুক্ত অধ্যক্ষ মাসুদ রেজার নিয়োগের বিরুদ্ধে রীট পিটিশন দাখিল করেন (নং ১১৭৪৯/১৬)। আদালতের যৌথ বেঞ্চ সংযুক্ত অধ্যক্ষের আদেশ স্থগিত করে। এদিকে গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত অধ্যক্ষ মাসুদ রেজা সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাসকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে আমতলী ত্যাগ করেন। চলতি দায়িত্বে থাকা আবুল হোসেন বিশ্বাসের কাছে আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা গত বছর তিন মাস অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর ও এ বছর জানুয়ারী মিলে ৪ মাস ধরে বেতন ভাতা পায়নি। এতে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ খবর দৈনিক জনকন্ঠসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে গত ১২ ফ্রেরুয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয় শাখা-৯ (কলেজ-১) এর উপ সচিব এ জেডএম নুরুল হক এক নির্দেশ পত্রে উল্লেখ করেন “ মহামান্য হাইকোর্টে বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন এর অন্তবর্তীকালীন আদেশ এর পরিপ্রেক্ষিতে আমতলী সরকারি কলেজ, বরগুনা এর বেসরকারী আমলের অধ্যক্ষ মোঃ মুজিবুর রহমানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত নির্দেশক্রমে অধ্যক্ষের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব প্রদান করা হলো”। অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান জানান আমি মন্ত্রনালয়ের চিঠি পেয়েছি। নিয়মিত কলেজে উপস্থিত হয়ে কাজ করছি। তিনি অভিযোগ করেন চলতি দায়িত্ব থাকা সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস এখনো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়নি। সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন বিশ্বাস মুঠোফোনে বলেন আমি চিঠি পেয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের চাবি তাকে (মজিবুর রহমান) বুঝিয়ে দিয়েছি। আমি কোন কাগজপত্রে স্বাক্ষর করি না।
×