ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে আলোচনা

উন্নয়নের চাকা স্তব্ধ করে দিতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উন্নয়নের চাকা স্তব্ধ করে দিতে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা স্তব্ধ করে দিতে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র চলছে। জঙ্গী হামলা এবং পরবর্তীতে পদ্মা সেতুতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশকে জঙ্গীবাদী-সন্ত্রাসী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছে। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে এই আলোচনা হয়। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সরকারী দলের মুহিবুর রহমান মানিক, সেলিনা হায়াত রিটা, আফতাব উদ্দিন সরকার, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কামরুল লায়লা জলি, শরীফ আহমেদ, হাবিবুর রহমান, ছানোয়ার হোসেন ও জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম। আলোচনা শেষে সংসদ অধিবেশন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সোয়া ছয়টা পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকা বন্ধ করতে এখনও বোমা ও আগুনসন্ত্রাসী খালেদা জিয়া ষড়যন্ত্রের গভীর জাল বুনছে। যারা নির্বিচারে বোমা ও আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে টেনে তুলেছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে চলছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অধিকাংশ মানুষ। সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে গোটা বাঙালী, প্রগতি, সংস্কৃতিকে হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। যখনই সুযোগ পায় তখনই গর্ত থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতাকে খামছে ধরার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। তিনি বলেন, ইয়াবাসহ মাদকের ছোবলে আমরা শঙ্কিত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাদক পাচার ও ব্যবহার রোধে কঠোর হয়ে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে। জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম বলেন, রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে বেশি ব্যস্ত নাকি জনসেবায় করছে- এ নিয়ে জনগণের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। জনগণের ভাষা বুঝতে না পেরে যারা নির্বাচনে না এসে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকা- করেছে, তারা (বিএনপি-জামায়াত জোট) এখন তারা খেসারত দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বড় ফ্যাক্টর হবে দাবি করে তিনি বলেন, চুনোপুঁটিদের ধরা হলেও বড় বড় ঋণ খেলাপী রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জঙ্গী তৎপরতার মাধ্যমে দেশকে জঙ্গী-সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। আর ড. ইউনূসসহ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির গুজব ছড়িয়ে দেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের সব অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
×