ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন ময়মনসিংহের এসপি

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন ময়মনসিংহের এসপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি রাজাকার ওয়াজউদ্দিনের মৃত্যুর নয় মাস পরেও তাকে পলাতক দেখিয়ে মামলা চলার ঘটনায় পুলিশ বিভাগের গাফিলতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের তলবে পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে আইনজীবী এ এম আমিনউদ্দিনের মাধ্যমে ক্ষমার আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল শুনানির পর এসপিকে সতর্ক করে দিয়ে তার ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দাখিলকৃত ব্যাখ্যা নিজ স্বাক্ষরে জমা না দেয়ায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে তা স্বাক্ষর করে পুনরায় জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। এসপির পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট এম আমিনউদ্দিন ও প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা ও প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। গত ৩১ জানুয়ারি এ ঘটনায় ময়মনসিংহের এসপিকে তলব করে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আইজিপিকে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ময়মনসিংহের এসপি বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর আগে পলাতক আসামির মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ১২ জানুয়ারি ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল। সে দিন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রসিকিউশনকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়। ওইদিনই ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (পুলিশ সুপার) কর্তৃক একটি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। যেখানে আসামি ওয়াজউদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৭ মে ওয়াজউদ্দিনের মৃত্যু হয়। এতে তার একটি মৃত্যু সনদও যুক্ত করা হয়েছে। মৃত্যুর আট মাস পর এই প্রতিবেদন দেয়া হয়। দেখা যায় ওয়াজউদ্দিনের মৃত্যুর সাত মাস পর ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।
×