ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একাত্তরের যুদ্ধশিশু ৭

কানাডায় জরিনা মরিস ভাল আছেন, দেশে আসার ইচ্ছে আছে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কানাডায় জরিনা মরিস ভাল আছেন, দেশে আসার ইচ্ছে আছে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ একজন দৃশ্যত অসুস্থ মানুষ একটি মৃতপ্রায় শিশুকে নিয়ে নদীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। লোকটি বলছিলেন, তার পক্ষে শিশুটির দায়িত্ব নেয়া সম্ভব নয়। সিস্টার তখন তাকে বললেন, তিনি নিজেই শিশুটির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। সঙ্গে সঙ্গে সিস্টারের হাতে নবজাতকটিকে সঁপে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত হন। এরপর সিস্টার শিশুটিকে অনাথ আশ্রমে নিয়ে এলেন। শিশুটির ওজন ছিল তিন কেজি। গায়ে দগদগে ঘা। শিশুটির নাম রাখা হয় জরিনা। তখন অনুমাননির্ভর একটি জন্ম তারিখ দেয়া হয় শিশুটির। যুদ্ধশিশু জরিনাকে পাওয়ার গল্পটা ঠিক এ রকমই। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর যৌন লালসার শিকার হয়ে যেসব যুদ্ধশিশুর জন্ম হয়েছিল তাদের একজন জরিনা। তার জন্মের ইতিহাস অন্যদের চেয়ে অনেকটাই আলাদা। মর্মান্তিক ও হৃদয়স্পর্শী। চোখে জল আসার মতো ঘটনা। কোথায় কখন শিশুটির জন্ম হয়েছিল তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেন না। মায়ের পরিচয়ও নেই। বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তানী সেনাদের এক নৌ-জাহাজ থেকে তাকে কুড়িয়ে আনা হয়েছিল। তারপর ঠাঁই হয় পুরান ঢাকার মাদার তেরেসা শিশু ভবনে। সেখান থেকে সুদূর কানাডায় দত্তক বাবা-মায়ের কাছে তার বেড়ে ওঠা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারিনী জরিনার নেই জন্ম ইতিহাস কিংবা ’৭১-এর বিয়োগান্তক ঘটনা নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ। তবে তিনি জানিয়েছেন, কানাডায় এখন প্রতিষ্ঠিত তিনি। ভাল আছেন। হয়ত ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেকে যুক্ত করবেন। মেঘনা তীরে পাওয়া যায় জরিনাকে ॥ খবরের কাগজ সূত্রে জরিনার বাবা-মা জানতে পারেন, সিস্টার মার্গারেট মেরি জরিনাকে ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেঘনা নদীর তীরে পান। আবার সে সময়ে মেয়ের জন্ম সদনপত্রে লেখা ছিল : ঢাকা, বাংলাদেশে, ২৩ অক্টোবর ১৯৭১। সনদে স্বাক্ষর করেন সুপিরিয়র, মিশনারিজ অব চ্যারিটি এবং যুদ্ধশিশুদের সংবিধিবদ্ধ অভিভাবক। মরিস দম্পতিকে এক চিঠির জবাবে সিস্টার মেরি জানান, ‘সৌভাগ্যের কথা। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের কোন একদিন তিনি দেখেন দৃশ্যত একজন অসুস্থ মানুষ একটি মৃতপ্রায় শিশুকে নিয়ে নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। লোকটি তাকে বলছিলেন, তার পক্ষে শিশুটির দায়িত্ব নেয়া সম্ভব নয়। সিস্টার তখন তাকে বললেন, তিনি নিজে শিশুটির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। তখন লোকটিকে দেখে মনে হলো তিনি ভারমুক্ত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে সিস্টারের হাতে সঁপে দিয়ে নিষ্ক্রান্ত হন।’ এরপর সিস্টার শিশুটিকে অনাথ আশ্রমে নিয়ে এলেন। সিস্টার শিশুটির নাম রাখেন জরিনা। তখন অনুমাননির্ভর একটি জন্ম তারিখ দেয়া হয় শিশুটির। চিঠিতে জরিনার বাবা-মাকে সিস্টার আরও জানান, ‘১৯৭২ সালের অনাথ আশ্রমে আনা প্রথম যুদ্ধশিশু ছিল জরিনা। ১৯৭৩ সালের ২৮ জানুয়ারি লেখা চিঠিটি এখনও মরিস দম্পতির কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। মরিস দম্পতি জানতেন, এ শিশুর মা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় যৌন লালসার শিকার। তারা এটাও জানতেন যে, জবরদস্তিমূলক গর্ভধারণ, যুদ্ধশিশু প্রসব ও পরিত্যাগ বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে সাধারণ ঘটনা ছিল। জরিনার জন্মের ইতিহাস ॥ শোনা গিয়েছিল, ঢাকার খুব কাছের একটি গ্রামে ১৯৭১ সালের ২৩ অক্টোবর যুদ্ধশিশু জরিনার জন্ম। একই বছরের ডিসেম্বরে তাকে শিশু ভবনে সিস্টার মেরির কাছে আনা হয়। ১৯৭২ সালে তাকে দত্তক হিসেবে কানাডায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন বয়স ছিল নয় মাস। রুগ্ন শরীর। এর মধ্যেই তার নতুন ঠিকানায় নতুন জীবনের যাত্রা শুরু। আনুষ্ঠানিক রেজিস্ট্রেশনের সময় মরিস দম্পতি শিশু সদনের নাম বাদ দেননি। তারা এই কন্যাশিশুর প্রথম নাম রাখেন ল্যারা আর মধ্য নাম ছিল জরিনা। যদিও বাংলাদেশে তার জন্ম সনদে জরিনা নামই ছিল। সবশেষে শিশুটির পূর্ণ নাম দাঁড়ায় ‘ল্যারা জরিনা মরিস’। শিক্ষাজীবন ॥ কথায় আছে জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল। জরিনার ক্ষেত্রে তাই হয়েছিল। সত্যিই কপাল ভাল তার। তাছাড়া শিশুকাল থেকেই তিনি বেশ মেধাবী। কানাডার অন্টেরও ব্রান্টফোর্ড শহরের নর্থ পার্ক কলেজিয়েট ও ভোকেশনাল স্কুল থেকে হাই স্কুলের পাঠ শেষ করে ল্যারা ব্যারি শহরে জর্জিয়ান কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৯৩ সালে অনার্স ডিপ্লোমা করেন ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টে। জর্জিয়ান কলেজে অধ্যয়নকালে ল্যারা একটি দলের সঙ্গে কাজ করে এ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে ফ্যাকাল্টি পুরস্কার লাভ করেন। ট্রাভেল এ্যান্ড ট্যুরিজম রিসার্চ ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা থেকে দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করেন তিনি। অন্টেরিও ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ওএমডিপি) এ্যান্ড লিডারশিপ স্কিলসসহ আরও বেশ কয়েকটি কোর্স তিনি কয়েক বছরে শেষ করেন। মওহাক কলেজ থেকে ২০১০ সালে হিউমেন রিসোর্সেস সার্টিফিকেটের সনদ পেয়ে তিনি মানবসম্পদ পেশাদার উপাধির জন্য প্রার্থী হন। ১২ বছরের বেশি সময় তিনি ওএলজি কেসিনো ব্রেন্ডফড টেবিল গেমস ইন্সপেক্টর পদে কাজ করেছেন। অনেক বছর বাইরের কাস্টমারদের সেবাদানের পর হিউম্যান রিজোউর্সেস প্রতিষ্ঠানে সময়সূচী রক্ষক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও তিনি আরও কয়েকটি অলাভজনক সংস্থায় কাজ করেছেন। মা-ভাই মারা গিয়েছিল ॥ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক মুস্তফা চৌধুরী কানাডায় তার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। যুদ্ধশিশু জরিনা জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন কিছু তার মনে পড়ে না। তবে নিজের জন্মকাহিনী নিয়ে অনেকের কাছ থেকে অনেক কথাই শুনেছেন তিনি। জন্মের একটি গল্প এ রকম আছে যে, ল্যারার জন্মদাত্রী মা ও ভাই মারা গিয়েছিল তার অনাথ আশ্রমে যাওয়ার আগেই। আরেকটি গল্প ঠিক এ রকম, ‘পরিত্যক্ত একটি নৌবাহিনীর জাহাজে আমার মা পাকিস্তানী সৈন্য দ্বারা নিগৃহীতা হয়েছিলেন। জীবনের গল্প যতই মর্মান্তিক বা করুণ হোক না কেন, তার মা-বাবার মতোই এ নিয়ে ল্যারার কিছু যায় আসে না। কারণ তিনি এখন বড় হয়েছেন। মরিসদের বাড়িতে তার জীবন চলা। মরিসদের একমাত্র বাবা-মা বলেই তিনি জানেন। তবে তিনি বাবা-মার মাধ্যমে এটাও জানেন, তাকে কেমন করে অনাথ আশ্রমের এক সন্ন্যাসিনী উদ্ধার করেছিলেন। তবে দত্তক পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্ম পরিচয় জানতে কখনই বাধা সৃষ্টি করা হয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ে তাকে উৎসাহিত করা হতো। ল্যারা নিজেও সেদিকে বেশি একটা এগোতে চাননি। তার মতে, বাবা-মা তাকে পরিপূর্ণ জীবন দিয়েছেন। সেখানে সকল সুযোগ ও অভিজ্ঞতার সম্ভাবনা রয়েছে, যা তার বাংলাদেশী জীবনে সম্ভব হতো না। তিনি বলেন, এজন্য কানাডীয় বাবা-মাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারি না। অনেকগুলো শিশুকে বঞ্চিত করে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। নইলে কখনই কানাডার এই অসাধারণ পরিবারের সদস্য হতে পারতাম না। আমাকে বাবা-মা এমনভাবে ভালবেসে আদর করেন যে, আমি তাদের ভালবাসায় কখনও কোন কিছুর ঘাটতি লক্ষ্য করিনি। তিনি আরও বলেন, বাবা-মা আমাকে কখনও আমার ভাইবোন থেকে (যাদের মধ্যে দুজন ছিলেন ভিয়েতনামের) আলাদা চোখে দেখেননি। জরিনা এ পরিবারটিতে এমনভাবে নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছেন যে, এর বাইরে ভিন্ন হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। জরিনা বলেন, তিনি কখনও জাত, গোত্র, ধর্ম বা সংস্কৃতির পটভূমি বিচার করে কারও সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবেন না, তা বিচার করেন না। বরং তিনি মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে বন্ধুত্ব স্থাপন করে এ পর্যন্ত এসেছেন। ১৯৮৯ সালে যে পাঁচ যুদ্ধশিশু বাংলাদেশে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জরিনাও ছিলেন। তখন তার বয়স ১৭। তিনি দাবি করেন, ১৯৮৯ সালের বাংলাদেশ সফর ছিল জীবনের একবারই ওই রকম ভ্রমণ, যা বাকি জীবন তার স্মরণ থাকবে। তিনি বলেন, এ সফরে আমি বুঝতে পারি আমার জীবন কেমন হতো যদি না আমায় দত্তক নিয়ে না আসা হতো। অনাথ শিশুদের ছেড়ে যেতে বুক ফেটে যাচ্ছিল ॥ বাংলাদেশ ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জরিনা বলেন, ‘অনাথ শিশুদের ছেড়ে যেতে আমার যেন বুক ফেটে যাচ্ছিল। ভবিষ্যত ওদের জন্য কী রেখেছে, আমাদের ওদের জন্য কিছু করার নেই এটা অনুভব করে।’ তিনি বলেন, অনাথ আশ্রমে গিয়ে মনে হয়েছিল সেখানে আমার ছোট ভাইবোনদের ফিরে পেয়েছি। আমি ভীষণভাবে অনুভব করেছিলাম আমার দত্তকগ্রাহী মা-বাবা এ অভিজ্ঞতা যদি আমার সঙ্গে ভাগ করতে পারতেন। তিনি আরও বলেন, যদিও এটা আমার বর্তমান পরিকল্পনায় নেই, তবুও আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশে ফিরব, যেখানে হয়ত কিছু দান করব। তিনি জানান, বাংলাদেশে গেলে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে চাই। সামাজিক কর্মকা- ॥ ছোটবেলা থেকেই ল্যারা কমিউনিটিতে নানা ধরনের কর্মকা-ে সক্রিয় ছিলেন। ড্রাম ও রণশিঙ্গা বাজিয়ে এবং উইন্টার কালার গার্ডেও তিনি অরেন্টিও ও কিউবেকে ১৯৮১ থেকে ’৯০ পর্যন্ত বহুবার অনেক পুরস্কৃত হয়েছেন। তাছাড়া স্থানীয় খবরের কাগজে গ্রুপ এবং একক পারফর্মেন্সে ব্রেন্টফর্ড এক্সপোসিটর তাকে নিয়ে কয়েকবার আকর্ষণীয় প্রতিবেদন লিখেছেন। দ্য লন্ডন ফ্রি প্রেসে তাকে নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। তার প্রথম বাংলাদেশ সফর নিয়েও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ফলো দ্যাট বার্ড চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন জরিনা। তিনি বাবা-মায়ের খুব কাছের মানুষ। পরিবারের সবাই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন। সপ্তাহান্তে পারিবারিক ডিনার ও গেমস নাইটের জন্য সবাই একত্রিত হয়ে সময়গুলো একান্তভাবে উপভোগ করেন। দত্তক শিশু নিয়ে সংসার বড় করার বাসনা ॥ জরিনার বাবার নাম জন। মায়ের নাম ডরোথি মরিস। তারা বিয়ের আগে থেকেই পরস্পরকে চিনতেন, জানতেন। এমনকি দত্তক শিশু নেয়ার বিষয়েও দুজন কথা বলতেন। দত্তকের সমর্থনে কাজ করেছেন তারা। সন্তান দত্তক নিয়ে নিজেদের সংসার বড় করার পক্ষপাতী ছিলেন এ দম্পতি। যুদ্ধে অনাথ শিশুদের সম্পর্কে ১৯৭১ সালের নবেম্বরে একটি ম্যাগাজিনে লেখা পড়ে মরিস দম্পতি দত্তক বিষয়ে বেশকিছু জানতে পারেন। মজার বিষয় হলো, মরালরাও ওই একই ম্যাগাজিনে প্রতিবেদন পড়ে যুদ্ধশিশুদের দত্তক নেয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন। জরিনার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। ১৯৭০ থেকে ১৯৭৫ পাঁচ বছরের মধ্যে মরিস দম্পতি তাদের চারটি সন্তান কোলে তুলে নেন, যার মধ্যে তিনটি তারা বিভিন্ন দেশ থেকে দত্তক হিসেবে এনেছিলেন। যখন বেথ তাদের একমাএ ঔরসজাত সন্তানের বয়স দু’বছর তখন বাংলাদেশ থেকে যুদ্ধশিশু জরিনাকে দত্তক নিয়েছিলেন। মরিস দম্পতি দত্তকের মাধ্যমে তাদের পরিবার গড়তে চেয়েছিলেন এই বিশ্বাসে যে, পৃথিবীতে ইতোমধ্যে অনেক পরিত্যক্ত শিশু রয়েছে, যাদের জন্য প্রয়োজন ছিল নিরাপদ বাড়ি ও স্নেহশীল বাবা-মা। তারা আন্তরিকভাবে চেয়েছিলেন কয়েকটি অনাথ শিশুকে নিয়ে আসবেন দত্তক হিসেবে। জরিনাকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার পর বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা এ দম্পতিকে ঘিরে ধরেন। প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় তাদের। পাকিস্তানী নেভি বোট থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল? এমন প্রশ্নে বাবা-মা বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল, তাকে শিশু সদনে আনা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায় না। জরিনাকে নিয়ে যাওয়ার খবর কানাডার সংবাদমাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২১ জুলাই ছাপা হয়েছিল।
×