ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উবাচ

কোথায় কি হলো না হলো... স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুতে ভিত্তিহীন দুর্নীতির ষড়যন্ত্র করে ফেসে গেছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে এসব নিয়ে মাতামাতি করা রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকরাও ধরা খেয়েছেন। যদিও বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রতিক্রিয়া চাইলে তারা বিবৃতি পাঠিয়ে পার পাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি মহাসচিব আর যাবেন কোথায়! পদ্মা সেতুতে কথিত দুর্নীতি নিয়ে নানান কথা বলে আসা বিএনপি এখন কুপোকাত। সরকার পক্ষ এই সুযোগে বিরোধীদের তুলোধুনো করছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির বিষয়ে কানাডার আদালত মামলা খারিজের পর চুপসে গেছে বিএনপি নামের দলটি। দলের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, কোথায় কি প্রমাণ হলো এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। তখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল, আসল কথা হচ্ছে এটা। সারাদেশের সকল মানুষই এখন মনে করছেন বিএনপির ইশারায় নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত ড. ইউনূস বিশ্বব্যাংকে পদ্মা সেতু থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এ কাছে মার্কিন নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন তাকে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগও করেছে সরকার পক্ষ। এখন হিলারি জিরো, ইউনূস সাহেবেরও সেই দশা। ছিল এক পদ্মা সেতু, দুর্নীতি, সেটাও গেল, এখন বিএনপি বাঁচবে কি নিয়ে। নিচে দিয়ে যাবেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ কানাডিয়ান আদালতে পদ্মা সেতু দুর্নীতির প্রমাণ না পাওয়ায় বিশ্বব্যাংকের গালে চপেটাঘাত পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, চালু হওয়ার পর ষড়যন্ত্রের অভিযোগকারীদের পদ্মা সেতুর উপর না উঠে নিচ দিয়ে যাতায়াতের পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, দেশীয় যড়যন্ত্রের কারণে দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদ্মা সেতু নির্মাণ থেকে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন ফিরিয়ে নিয়েছিল। কানাডার আদালতে সেই অভিযোগ ব্যর্থ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্বব্যাংকের গালে চপেটাঘাত পড়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতুর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেনÑ অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের কিছু অসাধু বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ড. ইউনূস পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করেছিলেন। সব ষড়যন্ত্রকারীর বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে টিআইবি অনেক বড় বড় কথা বলেছে। তারাও এখন সুর পাল্টেছেন। তাদের (টিআইবি) এখন উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। সাম্প্রদায়িকও না স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি দুষ্ট অধ্যায়ের নাম। স্বৈরাচারী এরশাদ তার ক্ষমতার কুরসিকে স্থায়ী করতে কৌশলে বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করে ধর্ম প্রবেশ করালেন। ধর্ম যার যার দেশটা সকলের মুক্তিযুদ্ধের এই চেনতাকে মেরে ফেললেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতির সুযোগ প্রথম করে দিয়েছিলেন আরেক স্বৈরাচারী জেনারেল জিয়াউর রহমান। আর এরশাদ তাকে আরও পোক্ত করল। বাংলাদেশের মানুষের মনের মধ্যে সম্প্রদায়িকতা ঢুকিয়ে দিয়ে দেশটাকে চিরদিনের মতো অস্থিতিশীল করে তুলল। কিন্তু এখন সেই দলের কো-চেয়ারম্যানের কোন দায়ই নিতে চাচ্ছেন না। এরশাদের ভাই জিএম কাদের সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় পার্টি সাম্প্রদায়িকও না অসাম্প্রদায়িকও না। আমরা মধ্যপন্থী। আওয়ামী লীগ নিজেকে অসাম্প্রদায়িক দাবি করে। অথচ তারা ক্ষমতাসীন হয়েও সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে পারেনি। আমাদের বলা হয় জাতীয় পার্টি ক্ষমতায থাকতে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে। একারণে আমরা যদি সাম্প্রদায়িক হই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও সাম্প্রদায়িক। এই হচ্ছে মধ্যপন্থী অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা! এর অর্থ নিজের দায় অন্যের উপর চাপানো?
×