ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে ‘মশা হাতি’ সমাচার

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সংসদে ‘মশা হাতি’ সমাচার

সংসদ রিপোর্টার ॥ একদিকে মশার আক্রমণে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। অন্যদিকে ভারত থেকে আসা হাতির হামলায় দিশেহারা কুড়িগ্রামের মানুষ। এই হাতি ও মশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের মন্ত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দুই সংসদ সদস্য। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনার সুযোগ নিয়ে তারা বিষয়টি উত্থাপন করেন। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনের শুরুতে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন জাতীয় পার্টি (জেপি) সদস্য মোঃ রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ৭০-৮০টি হাতি তার এলাকা কুড়িগ্রামে এসে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করছে। তারা ফসলের ক্ষেত নষ্ট করছে। বাড়িঘর ভেঙ্গে দিচ্ছে। রুহুল আমিন আরও বলেন, আমরা সরজমিনে গিয়ে ওই ভয়াবহতা দেখেছি। একটি ভুট্টা ক্ষেতে পোকা মারার জন্য বিষ দেয়ায় সেই জমির মালিকদের ১২ বাড়ি ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে হাতির দল। এই হাতি দলকে আসার জন্য ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা গেট খুলে দেয়। সরকারের দায়িত্ব জানমাল রক্ষার। তাই বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া দরকার। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, একজন সংসদ সদস্য সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতির কথা বলেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই সবচেয়ে ছোট প্রাণী মশার কথা। এই মশার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমি সারারাত ঘুমাতে পারি না। অনেকেরই একই অবস্থা। তিনি বলেন, আগে এসিআই কোম্পানির ওষুধ স্প্রে করলে মশা থাকত না। কিন্তু এখন সেই ওষুধ কাজ করছে না। ওই ওষুধ পরীক্ষা করা দরকার। মশার হাত থেকে জনগণকে রক্ষায় তিনি শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনএফ) চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তিস্তা নদী নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, রিপোর্টটি পড়ে আমরা উদ্বিগ্ন। তিস্তা নদীতে এখন পানি নেই। তিস্তা ব্যারাজের পানি এখনও আমরা পাইনি। ইতোমধ্যে ভারতের দুইজন প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু তিস্তার পানি পাইনি। এ সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরমধ্যে সরকার গঙ্গা ব্যারাজের উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে চায় বলে আমরা জানি, কিন্তু বাদ সেধেছেন মমতা ব্যানার্জি। গঙ্গা ব্যারাজের মতো তিস্তা ব্যারাজেও তিনি বাদ সেধেছেন বলে পত্রিকায় দেখলাম। তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। সবার সঙ্গে সমান সম্পর্ক রেখে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করে যাচ্ছেন। এর আগে গঙ্গা পানি চুক্তি হয়েছে, কিন্তু সেই চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের জোরালো উদ্যোগ এখনই সরকারকে নেয়া উচিত। অন্যদিকে সরকারী দলের আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী নারী পাচার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
×