ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, পাকি লেখকের বইটি নিষিদ্ধ করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, পাকি লেখকের বইটি নিষিদ্ধ করা হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পাকিস্তানী লেখক জুনায়েদ আহমেদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে যে বই লিখেছেন সেটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, পাকিস্তান প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে নিজেদের ওই সময়ের অপকর্ম লুকানোর চেষ্টা করছে। তবে আর যাই হোক এসব বই বাংলাদেশে বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তার দফতরে বাংলাদেশে সফররত বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। আর পাকিস্তানে জঙ্গীবাদ কায়েম করে এই অঞ্চলে অশান্তির বীজ বপন করে চলছে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম সংসদের ১৪তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, জুনায়েদ আহমেদের লেখা বইটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, পাকিস্তান এখন এই বই লিখে তাদের কৃতকর্ম, গণহত্যা, মানুষকে গুলি করে মারার ঘটনাগুলোকে উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর দোষ দিয়ে, নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে। এত বড় দুঃসাহস তাদের কোথা থেকে এলো? এটা পাকিস্তানের জন্য লজ্জার বিষয়। তারা এই লেখার সাহস কোথায় পেল? বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গণহত্যায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। মনে হয়, ওই প্রশ্ন তুলেই বিদেশী প্রভুদের সুযোগ করে দেয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এদিকে, সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশনই আগামী নির্বাচন পরিচালনা করবে এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের সময় শেখ হাসিনার সরকারই যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে তা নিয়ে কোন ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সংশয় ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের থাকা উচিত নয়। এখন তারাই সিদ্ধান্ত নিক, ওই নির্বাচনে বিএনপির ভূমিকা কি হবে না হবে। আগামী ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আদালতে বিচারাধীন। রায় কী হবে তা আমরা কেউ জানি না। তবে বিদ্যমান আইন অনুসারে কারও যদি দুই বছরের সাজা হয় সে ক্ষেত্রে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। কাজেই খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে জেলে গেলে বাংলাদেশের কোন নির্বাচন হবে না বলে ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে হুমকি দিয়েছেন, তা কেবল মহাসচিব হিসেবে তাকে দিতে হয়। আর বাংলাদেশের কোন নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। তা অতীতেও প্রমাণিত হয়েছে।
×