বৃহৎ আকারের একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির নকশা ও পরিকল্পনা তৈরি করেছেন পদার্থ বিজ্ঞানীরা।
অত্যন্ত দ্রুত গতির এই মেশিন, যা সুপার-ফার্স্ট কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত, ধারণা করা হচ্ছে, কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে এটি এক বিপ্লব ঘটাবে।
তবে বাস্তবে, সত্যি সত্যিই এতবড় আকারের একটি কম্পিউটার তৈরির পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত শুধু ল্যাবরেটরির মধ্যেই সীমিত।
যুক্তরাজ্যের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী উইনফ্রিড হেনসিঙ্গার বলেন, বৃহদাকার একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার একই সময়ে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে সক্ষম হবে। এই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করবে ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম জগত। অত্যাধুনিক সব কম্পিউটার দিয়েও যেসব সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না, সেসবও সমাধান করা সম্ভব হবে এই কম্পিউটারের মাধ্যমে। ব্রিটেনের বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি এই গবেষণা কাজে অংশ নিচ্ছেন ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ডেনমার্কের আরহুস বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের রিকেন রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং জার্মানির জিগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
ড. হেনসিঙ্গার বলছেন, এই কম্পিউটারটি তৈরি করতে খরচ পড়বে ১০ থেকে ২০ লাখ পাউন্ড। তবে তিনি বলছেন, বাস্তব জগতে ব্যবহারিক কাজের জন্য এ রকম একটি যন্ত্র তৈরিতে খরচ পড়বে তারচেয়েও বেশি।
এর আগে কানাডার একটি প্রতিষ্ঠান ডি- ওয়েইভ কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, গুগলসহ প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই কম্পিউটারটি ব্যবহার করছে।
কিন্তু সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় এসব যন্ত্রের কাজের গতি বা স্পিড নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে।
সূত্র : বিবিসি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: