ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আটক শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে তিন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশিত: ০৪:৫০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আটক শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে তিন জেলায় পরিবহন ধর্মঘট

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার থ্রি হুইলার ও বাস শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি বাস পুড়িয়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৮ বাস শ্রমিককে আটক করে। আটককৃতদের মুক্তি ও মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধের দাবিতে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতি আলটিমেটাম দেয়। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : বরিশাল ॥ আমতলীতে আটক ১৮ বাস শ্রমিকের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালিক সমন্বয় সমিতির আহ্বানে বরিশালের আঞ্চলিক আটটি রুটে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট। ফলে এসব রুটের বাস যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বরগুনা ॥ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটের সকল বাস ও পরিবহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। বাস মালিক শ্রমিক সমিতির নেতারা জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ে মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে তারা। কিছুক্ষণ পর শুরু হয় বাক-বিত-া। এ সময় মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা শ্রমিকরা ৪টি বাস ভাংচুর করে। বাস শ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৮ জন শ্রমিককে আটক করেন। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমতলীতে বাসে আগুন দেয় মাহেন্দ্র, অটোরিক্সা শ্রমিকরা। আমতলী (বরগুনা) ॥ আমতলী মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ আহূত ধর্মঘটের কারনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশাল-পটুয়াখালী-আমতলী-কলাপাড়া-কুয়াকাটা ও বরগুনা-আমতলী-তালতলী মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে কোন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনি। বাস চলাচল না করায় সাধারণ মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
×