ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আর এম দেবনাথ

রাজনীতিবিদদের ব্যাংক পরিচালক হতে কী কী বাধা?

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাজনীতিবিদদের ব্যাংক পরিচালক হতে কী কী বাধা?

হতভাগা এই দেশে কেউ আইন পরিবর্তনের কথা বলেন না, বলেন না তা সংশোধনের কথাও। অথচ আইন মোতাবেক পদক্ষেপ নিলেই চারদিকে হৈচৈ শুরু হয়। বিপরীতে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ নিয়ে কোন ফল না পেলেও হৈচৈ শুরু হয়। দুটো উদাহরণ দিই। প্রথম উদাহরণটি ‘পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি এ্যাক্ট’ (পিডিআর) সংক্রান্ত। প্রতি বছরই দেখা যায় কৃষকের কোমড়ে দড়ি। তাকে নেয়া হচ্ছে জেলে। কারণ? কৃষি ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারেনি ব্যাংকে। ব্যাংক ‘সার্টিফিকেট মামলা’ করেছে, যা একটা নির্দিষ্ট সময় শেষে তারা করতে বাধ্য। নতুবা ব্যাংকের দাবি ‘তামাদি’ হয়ে যাবে। কত টাকার জন্য এই শাস্তি? বড়জোর পাঁচ-সাত-দশ কিংবা পনেরো-বিশ হাজার টাকার জন্য এই ভোগান্তি তার। বহু লোককে কৃষকদের কোমড়ে দড়ি দেখে দয়াপরবশ হয়ে কৃষকের দেনার টাকা পরিশোধ করতেও দেখা যায়। এই যে নিত্য নিয়মিত ঘটনা, যা প্রতিবছর ঘটে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে অনেকেই সোচ্চার, কিন্তু কেউ আইন পরিবর্তনের কথা বলে না। বলে না যে, ব্যাংকের ‘সার্টিফিকেট’ মামলা না করে উপায় নেই। না করলে ব্যাংকের ‘দাবি’ তামাদি হবে। হলে ব্যাংকের অফিসারদের শাস্তি হবে, চাকরি যাবে। এর কোন ব্যতিক্রম নেই। এমতাবস্থায়, আমরা কী এমন একটা ব্যবস্থার কথা ভাবতে পারি না যেখানে ‘অর্থঋণ আদালতের’ মতো ব্যবস্থায় কৃষি ঋণের অনাদায়ের বিচার করা যায়। সাধারণ ব্যাংকঋণ অপরিশোধের ক্ষেত্রে অর্থঋণ আদালতে মামলা হলে কাউকে সঙ্গে সঙ্গে জেলে নেয়া হয় না। মামলা হয়, কোর্ট-কাছারি হয়। মামলার ডিক্রি হয়, ডিক্রি কার্যকর করা হয়। সম্পত্তি নিলামে তোলা হয়, তা বিক্রি হয়, ব্যাংকের টাকা আদায় করা হয়। সাধারণ ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে যদি এই ব্যবস্থা থাকতে পারে, তাহলে বকেয়া কৃষি ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে একই ধরনের ব্যবস্থা করতে আপত্তি কোথায়? অথবা অর্থঋণ আদালতের মামলায় ঋণগ্রহীতার কোমড়ে দড়ি বেঁধে তাকে জেলে নিতে বাধা কোথায়? এসব ভাবা দরকার। না ভেবে আইনের যথাযথ ব্যবহার করলেই হৈচৈ করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত এই প্রশ্ন যে কেউ তুলতে পারে। অন্তত আমি তুলছি। আমার মতে এটা লোক দেখানো কান্না, মায়াকান্না। দ্বিতীয়ত আসি ‘অর্থঋণ আদালতের’ কথায়। ব্যাংকের খেলাপী ঋণ আদায়ের জন্য এই আদালত বিশেষভাবে গঠিত হয়েছে। এসব মামলার অন্য কোর্টে বিচার হয় না। কী সুন্দর ব্যবস্থা, কিন্তু বিচারকের অভাবে, পদ্ধতিগত সমস্যার কারণে, ‘রিটে’ মামলা আটকা থাকার কারণে ব্যাংকের খেলাপী ঋণ আদায় হয় না। হাজার হাজার কোটি টাকা মামলায় আটকা পড়ে আছে। কী হৈচৈ এ নিয়ে! বাংলাদেশ ব্যাংক দুদিন পরে পরে ‘হুঙ্কার’ দিয়ে ওঠে। অথচ তারা আইন সংশোধনের কথা বলে না, আইনটাকে আরও কার্যকর করার পদক্ষেপ নেয় না। তা না করে দুদিন পর পর বড় কর্মকর্তারা ব্যাংকারদের ডেকে হৈচৈ ফেলে দেয়, আতঙ্কজনক কথাবর্তা বলে। এদিকে বুদ্ধিজীবীরা ঢালাওভাবে কথা বলে, সুশীল সমাজীরা কথা বলে আরও ঢালাওভাবে। মিডিয়া দিনের পর দিন ওইসব চটকদারি কথা বার বার বলে। অথচ কেউ বলে না বিদ্যমান আইনটাকে আরও মজবুত করার কথা। আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর রায় ‘একজিকিউট’ করতে হয়। পুলিশের সহায়তা লাগে। অথচ তা সময়মতো পাওয়া যায় না। পুলিশ ব্যস্ত দৈনন্দিন পুলিশি দায়িত্বে। রায় বাস্তবায়ন আর হয় না। সম্পত্তি নিলামে তুললে ‘সিন্ডিকেট’ করে তা আটকিয়ে দেয়া হয়। হাইকোর্টে রিট করা হয়। উচ্চতর আদালতে বিচারকের অভাব, স্পেশাল বেঞ্চ বসাতে বিচারক লাগে। এসবের ফাঁকে ব্যাংকের মামলা ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। এসব নিয়ে কেউ কথা বলে না, পদক্ষেপও নেয় না। অথচ ‘খেলাপী ঋণ’ আদায় হচ্ছে না। খেলাপী ঋণ বাড়ছে- এই সেøাগানে সবাই উচ্চকণ্ঠ। কেন, ‘ঋণ খেলাপী’কে একটা ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করলে কী অসুবিধা? ব্যাংকের টাকা সাধারণ মানুষের টাকা। এই টাকা সরকারের নয়। মানুষ বিশ্বাস করে তাদের সঞ্চয় ব্যাংকে রেখেছে। ওই টাকা থেকে ব্যাংক ঋণ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে টাকা ফেরত দেয় না। অথচ ব্যক্তিগতভাবে ঋণ নিলে কী হতো? অজুহাতে কী কাজ হতো? নিশ্চয় নয়। বাড়িঘর বিক্রি করে টাকা দিতে হতো। গ্রামে সালিশ বসত। ‘স্ট্রেড বডিতে’ সালিশ বসত। তাই নয় কী? যদি তাই হয়, তাহলে ব্যাংকের টাকা ফেরত আসতে এত কোর্ট-কাছারি কেন? এত বাধা-বিপত্তি কেন? কেন এই টাকা আদায়ের পথ মসৃণ করা যাবে না? অথচ দেখা যাচ্ছে ব্যাংকের টাকা আদায় করাকে আইনের প্যাঁচে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু কেউ সেই প্যাঁচের সমালোচনা করছেন না। খালি দুষছেন ব্যাংকারদের। ব্যাংকারদের দোষ আছে, কিন্তু আইনী দোষগুলোর কী হবে? ‘রিটের’ যে শুনানির তারিখ পাওয়া যায় না, তার কী-হবে? এবার আসি আরেকটি আইনের আলোচনায়। কেন? তার কারণ ওই আইনে বলা আছে ব্যাংকের পরিচালক কে হতে পারবে তাদের যোগ্যতা কী হতে হবে? দেখা যাচ্ছে আইনের দিকে না তাকিয়ে এক শ্রেণীর ‘মিডিয়া’ বুদ্ধিজীবী, এমন কী সরকারের মন্ত্রী পর্যন্ত বলছেন, প্রশ্ন করছেন- এরা কারা ব্যাংকের পরিচালক? এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমরা ফিরে তাকাব ‘ব্যাংক কোম্পানি এ্যাক্ট-১৯৯১ এর দিকে। বলাবাহুল্য, আইনটি করেছে তৎকালীন বিএনপি সরকার। এরপর ২৬ বছর গত হয়েছে। এর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, এখন ৮-৯ বছর ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকারÑ এ সময়ের মধ্যে নানা পরিবর্তনের পরও পরিচালকের যোগ্যতায় কোন পরিবর্তন হয়নি। এই আইনের ১৫নং ধারায় বলা হচ্ছেÑ ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত ক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা না থাকলে কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। ফৌজদারি অপরাধে দ-িত কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিও ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি আদালতের রায়ে কোন বিরূপ মন্তব্য থাকলে তিনিও পরিচালক হওয়ার যোগ্য নন। আর্থিক খাতের নিয়ামক সংস্থার কোন বিধি ভঙ্গ করলেও কেউ পরিচালক হতে পারবেন না। কোন ব্যক্তি যদি এমন প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকেন যা বিলুপ্ত হয়েছে তাহলে তিনিও ব্যাংকপরিচালক হতে পারবেন না। কোন ঋণ ‘খেলাপী’ও পরিচালক হওয়ার যোগ্য নন। দেউলিয়া তো হতেই পারবে না। এই মোট সাতটি যোগ্যতার কথা ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা আছে। এই আইনের প্রেক্ষাপটে কথা না বলে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর লোক বলছেÑ অমুক ব্যক্তি পরিচালক হলো কী করে, তার তো ব্যাংকের কোন অভিজ্ঞতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্যাংকের পরিচালক হন কীভাবে? তিনি ব্যাংকিং ব্যবসার কী জানেন? প্রাক্তন সচিব ব্যাংকের কী জানেন? নিজের এ্যাকাউন্ট পরিচালনা করা ছাড়া তার ব্যাংকের অভিজ্ঞতা কোথায়? কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোক, বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক হয় কীভাবে? তিনি কীভাবে ‘ঋণপত্র’ খুলতে হয় জানেন কী? এ ধরনের প্রশ্নের কোন শেষ নেই। প্রায় প্রতিদিন এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। মন্ত্রী, সাংসদ, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা পর্যন্ত এসব প্রশ্ন করছেন। অথচ কেউ আইনের দিকেই তাকাচ্ছে না। তাদের বুঝতে হবে আইন মোতাবেক বর্তমানে রাজনীতিবিদসহ ৩০-৪০ বছর বয়সের এমন কোন লোক দেশে নেই যিনি ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। যদি কথা হয় যে, ব্যাংকের পরিচালক হবেন ব্যাংকিং জানা লোক তাহলে আইনটা পরিবর্তন করতে হবে। তাই বলব যারা এটা চান তাদের আইন পরিবর্তনের দাবি জানাতে। সেটি না করে প্রতিদিন খালি কথার কথা বলে যাওয়াটা ঠিক নয়। আর আইন পরিবর্তন করতে হলে, খালি ব্যাংকারদের ব্যাংকের পরিচালক করতে হলে আরও অনেক বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। ধরা যাক, বেসরকারী ব্যাংকের কথা। দেশে অনেকগুলো বেসরকারী ব্যাংক। এসবের পরিচালক-চেয়ারম্যানরা সব রাজনীতিবিদ-কাম ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। তাদের ‘ব্যাংকিং জ্ঞান’ আছে কী নেই তার প্রশ্ন কেউ কী করে? তারা মালিক সূত্রে ব্যাংকের পরিচালক। যদি মালিকানা সূত্রে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হওয়া যায় তাহলে একজন সাংবাদিক বা উকিল বা ডাক্তার ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না কেন? শত হোক ব্যাংকের কাজে উকিল, ডাক্তার, সাংবাদিকরাও ভীষণ জরুরী। যদি প্রশ্ন হয়, ব্যাংকিং জানতে হবে, তাহলে সচিব মহোদয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর হবেন কীভাবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবেন কীভাবে? তারা ব্যাংকিংয়ের, কেন্দ্রীয় ব্যাংকিংয়ের কী জানেন? আবার ‘ব্যাংকার’ও তো অনেক ধরনের। দেশে অনেক সিনিয়র ব্যাংকার আছেন যারা ‘জেনারেল ব্যাংকিং’ না করে তোয়াজগুণে প্রধান নির্বাহী হয়েছেন। অথচ ব্যাংকিংয়ের ভিত্তি (ফাউন্ডেশন) হচ্ছে জেনারেল ব্যাংকিং। দেখা যায় শুধুমাত্র ‘ক্রেডিট’- বিভাগে তাও এর নির্দিষ্ট একটি কাজ করে অনেকে প্রধান নির্বাহী হয়েছেন। প্রচুরসংখ্যক সিনিয়র ব্যাংকারের কোন ‘জব রোটেশন’ই হয়নি। তাদের অনেকেই ‘এ্যাকাউন্টস’ বা ইনসপেকশনে কাজ করেননি। অথচ এ দুটো বিভাগে কাজ না করলে পুরো ব্যাংক জানা যায় না। বোঝা যায় না। শুধু মালিকদের ‘সেবা’ করে অনেকেই ‘দমাদম’ ওপরে উঠে গেছেন। এখন যদি ব্যাংকার বলেই পরিচালক করতে হয় তাহলে তো তারাও বিবেচনায় আসবেন, তাই নয় কী? এমতাবস্থায় করণীয় কী? করণীয় ভাবার আগে রাজনীতির কথা বলা যায়। একজন রাজনীতিবিদ সারাজীবন মাঠে-ময়দানে কাজ করেছেন। হঠাৎ তিনি ক্ষমতায়, মন্ত্রী হলেন। কত বড় দায়িত্ব ভাবা যায়? কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়া একজন রাজনীতিবিদ যদি সরাসরি একটা মন্ত্রণালয় চালাতে পারেন তাহলে ৩০-৪০ বছর বয়সের ‘সাধারণ বুদ্ধির’ একজন লোক ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না কেন? একজন সচিব যদি আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চালাতে পারেন, কাল বন ও পশু মন্ত্রণালয়, পরশু প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় চালাতে পারেন তাহলে ব্যাংকের পরিচালক এমন কী একটা দায়িত্ব যে তা ‘রিজনেবল ইনটেলেক্ট’-এর একজন লোক পালন করতে পারবেন না? অনেক প্রশ্ন। আসলে প্রশ্নটির সমাধান আছে। আছে ‘ম্যানেজমেন্ট’ শাস্ত্রে। সংগঠনের যত নিচের কাজ তা করতে লাগে ‘টেকনিক্যাল স্কিল’। মধ্যস্তরে লাগে ‘ম্যানেজারিয়েল স্কিল’। যতই ওপরে উঠা যায় ততই লাগবে ‘হিউম্যান স্কিল’ ‘ইনোভেটিভ স্কিল’। ওপরে উঠলে ব্যাংকে ‘চেক’ কীভাবে পাস করতে হয় তা জানার দরকার করে না। লাগে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের জ্ঞান, পরিকল্পনার জ্ঞান। পরিচালকদের কাজ নীতি প্রণয়নের কাজ। ব্যাংককে পথ দেখানোর কাজ এতক্ষণ যা বললাম তা যদি কারও পছন্দ না হয়, তাহলে যা করতে হবে তা হচ্ছে ‘ব্যাংক কোম্পানি এ্যাক্ট ১৯৯১’ এর পরিবর্তন। পরিবর্তন করে বলা যায় যে, ‘ব্যাংকার’ ছাড়া কেউ পরিচালক হতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে খালি একটা কথা বলব। সোনালী ব্যাংকে ঘটে ‘হলমার্কের’ মতো ভীষণ বড় জালিয়াতি। ওই সময়কার বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন স্বনামধন্য একজন ব্যাংকার- কোন অধ্যাপক নয়। আবার অনিয়মের জন্য যে ব্যাংকটি আজ আর নেই সেই ‘আল-বারাকা ব্যাংকটির’ টাকা মেরে বিদেশে চলে যান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন এক গবর্নর। অতএব সবদিক বিচার করে কথা বলা দরকার। দেশের জন্য যা ভাল তাই বলা দরকার। জোর দেয়া দরকার ব্যাংক পরিচালনার নীতি-বিধিমালায়, আইনে, সিসটেম- ম্যাথডে, মনিটরিংয়ে যাতে কেউ এদিক-সেদিক করতে না পারে। দরকার ‘টাইট কন্ট্রোল’ এবং অপরাধের বিচার। লেখক : সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×