ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৬ মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

৬ মাসে আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার ও নিষ্পত্তি দুই-ই বেড়েছে। এ সময়ে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলা বেড়েছে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর নিষ্পত্তি বেড়েছে ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপণ্য, মূলধনী যন্ত্রপাতি, জ্বালানি তেলের এলসি খোলা বেড়েছে। তবে কমেছে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ছয় মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ২ হাজার ৩০২ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ১০৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ২৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৩০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৭৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার। সে হিসেবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ। তবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৮ সালের মধ্যে আইটি খাত থেকে ১০০ কোটি ডলার এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আইটি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছে বর্তমান সরকার। আইটি পার্কও করতে যাচ্ছি আমরা। এ খাতের রফতানি আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে আইটি খাত থেকে ১০০ কোটি ডলার এবং ২০২১ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের একমাত্র রফতানি পণ্য ছিল পাট। এখন আমরা অনেক পণ্য রফতানি করছি। চিংড়ি, তৈরি পোশাকসহ আমাদের প্রায় সব পণ্যের রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এখন রফতানি বাড়ানোর জন্য লেদার খাতকে আমরা নগদ সহায়তা দিচ্ছি। বর্তমানে এ খাত থেকে আমাদের রফতানি আয় প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের রফতানিকৃত পাটের ২০ শতাংশই ভারতে রফতানি হয়। কিন্তু কিছুদিন আগে ওই দেশে পাটে এন্টি ডাম্পিং শুল্কারোপ করায় আমাদের রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
×