ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়ে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে ॥ খাদ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দাম বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। সচিবালয়ে বুধবার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য তিনি জানান। তবে ব্যবসায়ীদের কারসাজির পাশাপাশি ভারত থেকে চাল না আসা, ধানের সিংহভাগ মিলারদের হাতে চলে যাওয়া, কাবিখার পরিবর্তে কাবিটা করাসহ বিভিন্ন কারণে চালের বাজার একটি চড়া বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম বেড়েছে বলে মিডিয়ায় খবর আসছে। মিল মালিকদের মাধ্যমে প্রকৃত অবস্থা জানতে আমরা বসেছিলাম। তাদের কাছ থেকে অত্যন্ত ইতিবাচক বক্তব্য পেয়েছি। তারা আমাদের কাছে সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, কোন সমস্যা নেই। তিনি বলেন, এবার মোটা চালের দাম বৃদ্ধির মূল কারণটা হচ্ছে, গত বছর এই সময়ে ভারত থেকে আড়াই থেকে ৩ লাখ টন চাল এসেছে বিনা শুল্কে। এখন সরকার শুল্কারোপের পর এ বছর এই সময়ে ভারত থেকে চাল এনেছে ৩৭ হাজার টন। এক সময় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে ফ্রি স্টাইলে চাল আমদানি করেছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্যাক্স আরোপের ফলে কৃষকরা কিন্তু লাভবান হচ্ছে। কামরুল ইসলাম বলেন, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী পাইকারি বাজারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যভাবে চালের দাম বৃদ্ধি করেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রতিক্রিয়া হয়েছে, এটা আমি বলব না। অসাধু ব্যবসায়ী তারাই যারা মনে করছে, কোন রকম একটা অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে শুল্কটা প্রত্যাহার করতে পারেন। কোন অবস্থায় শুল্ক প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না। চলতি অর্থবছরে চাল আমদানির ওপর শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।
×