ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভিসা জটিলতায় হকি দলের দক্ষিণ আফ্রিকা ট্যুর বাতিল

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ভিসা জটিলতায় হকি দলের দক্ষিণ আফ্রিকা ট্যুর বাতিল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনার রদবদল হয়েছে। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড হকি লীগ রাউন্ড-টু’কে সামনে রেখে নিজেদের আরও ঝালিয়ে নিতে ও শাণিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। কেননা ভিসা জটিলতায় বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে আফ্রিকা সফর। এছাড়া টুর্নামেন্টে দলের ম্যানেজার নির্বাচিত করা হয়েছে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনিরকে। তবে বিতর্কিত এই ফেডারেশন কর্তাকে ম্যানেজার নিয়োগ করায় আবারও শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। এরআগে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের টাকা নিজের ইচ্ছে মতো খরচ করার অভিযোগ উঠেছিল ফেডারেশনের এই সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। তবুও তাকেই মনোনীত করা হলো ম্যানেজার। জিমি-চয়নদের প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা থাকলেও ভিসা জটিলতায় পরবর্তীতে কেনিয়া চূড়ান্ত করা হয়। গবর্নিং বডির বৈঠকে এবার সিদ্ধান্ত হয়, দেশেই প্রশিক্ষণ নেবেন খেলোয়াড়রা। একটি সূত্র থেকে জানা গেছেÑ দলের খেলোয়াড়রাও চাইছিলেন যেহেতু টুর্নামেন্ট ঢাকায়, তাই এখানেই কোন বিদেশী দল এনে তাদের সঙ্গে প্রস্ততির ব্যবস্থা করা হোক। শেষ পর্যন্ত সেই পথেই হাঁটলো বাহফে। এছাড়াও বাহফের বৈঠকে টুর্নামেন্টের স্পন্সর হিসেবে এফএমসি গ্রুপকে চূড়ান্ত করা হয়। এরআগে বেশকিছু বিতর্কিত কর্মকা-ের জন্য বহিষ্কৃত কয়েকজনকে শর্তসাপেক্ষে ফেডারেশনে ফেরানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আর সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক ও সহ-সভাপতি শফিউল্লাহ আল মুনিরকে আগামী বছরের জন্য অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের কাউন্সিলর মনোনীত করা হয়। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) প্রাথমিকভাবে গত ২ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা যাবার তারিখ ঠিক করলেও ভিসা জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়। পরে ৮ ফেব্রুয়ারিও একই ঘটনা ঘটে। পরবর্তী নতুন তারিখ নির্ধারণ হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ভিসা সমস্যার সমাধান না হওয়াতে নতুন তারিখেও যাত্রা করা অনিশ্চয়তায় পড়ে। বাহফের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক জানিয়েছেন, ‘দেশের বাইরে যাওয়া হচ্ছে না জিমিদের। দক্ষিণ আফ্রিকা যাবার কথা ছিল হকি দলের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ভিসা জটিলতায় সেটি সম্ভব হয়নি। আপাতত দল মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছে। আমাদের কোচ যেহেতু বিদেশে আছেন তিনি চেষ্টা করছেন কোন বিদেশী দলকে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় নিয়ে আসা যায় কিনা। এত স্বল্প সময়ে ভিসা করে বাংলাদেশ দলকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’ দলের খেলোয়াড়রা অবশ্য আগে থেকেই চাইছিলেন যেহেতু ঘরের মাটিতে টুর্নামেন্ট প্রস্তুতিটা এখানে হলেই বেশি ভাল হয়। বিদেশে গিয়ে প্রস্তুতি সেরে আবার দ্রুত ফিরে আসতে হতো হকি দলকে। সেক্ষেত্রে ভ্রমণ ক্লান্তিটা কাল হতে পারতো আশরাফুলদের। তাই যদি দেশেই কোন মানসম্পন্ন বিদেশী দলকে এনে ম্যাচ খেলে নিজেদের বর্তমান অবস্থাটা যাচাই করতে পারে হকি দল সেটিই বেশি ভাল হবে দলের জন্য মনে করেন খেলোয়াড়রা। তাছাড়া ওয়ার্ল্ড হকি লীগে অংশ নিতে বেশ কয়েকটি দল একটু আগেভাগেই চলে আসবে ঢাকাতে। ফেডারেশন চাইলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেও কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করতে পারে বাংলাদেশের জন্য।
×