স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের পাঠানো ত্রাণ উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও টেকনাফ লেদা ক্যাম্পে বিতরণ শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ার এমপি আব্দুল আজিজের নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বেলা ১১টায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। এ সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান আব্দুল আজিজ উপস্থিত দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেন। ব্রিফিংকালে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়াসহ নানা সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। প্রয়োজনে আরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে সফররত মালয়েশিয়া প্রতিনিধি দলের প্রধান আব্দুল আজিজ উল্লেখ করেন।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এই ত্রাণসামগ্রী উখিয়া, কুতুপালং, বালুখালী ও টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে চাল, ডাল, কফি, চিনি, খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, কম্বল ও চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রায় ৩৫ প্রকার পণ্য রয়েছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ‘নটিক্যাল আলিয়া’ নামের একটি জাহাজ এক হাজার ৪৭২ টন ত্রাণ নিয়ে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি জেটিতে পৌঁছালে জাহাজ থেকে ত্রাণগুলো খালাস করা হয়। এরপর রাতেই সড়ক পথে উখিয়া ও টেকনাফে নিয়ে আসা হয়।
ত্রাণ বিতরণ সমন্বয় কমিটির প্রধান ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ত্রাণ সামগ্রীগুলো উখিয়া ও টেকনাফে খাদ্য গুদামে রাখা হয়েছে। এসব ত্রাণসামগ্রী এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হবে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। একটি তালিকা করে টিকিটের মাধ্যমে চারটি স্পটে পর্যায়ক্রমে রোহিঙ্গাদের ১৫ হাজার পরিবারের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার টেকনাফে এবং সাড়ে ৯ হাজার পরিবার উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্পের আশ্রিত রোহিঙ্গা।
এদিকে ত্রাণ বিতরণের জন্য দুটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রধান করে উপজেলা পর্যায়ে অন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ শেষে বালুখালীতে ও দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। উখিয়া কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে ৫০ পরিবার, বালুখালীতে ৫০ পরিবার ও টেকনাফের লেদা ক্যাম্প ৫০ পরিবারের প্রধানের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
