ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত চক্রের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হরতাল, অবরোধের সময় তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা হামলার শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এদের মধ্যে হামলায় গুরুতর আহত ফেনীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও শাহরিয়ার হৃদয় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে অনিকের মা আমেনা আকতার জেসমীন ও হৃদয়ের বাবা আবুল খায়েরের হাতে ১০ লাখ টাকার (প্রত্যেককে) চেক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ কথা জানান। খবর বাসসর। তিনি বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল কাদের মিয়া, গাজীপুরের শেরপুরের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও ঝিনাইদহের শৈলকুপার মোঃ লিটন মিয়া প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে এবং ঢাকার মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার সৈয়দ মোঃ আবদুল মতিন ও ঢাকার বংশালের মোঃ সেলিম হোসেন সেলিম প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। চেক প্রদানকালে শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা হামলায় আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন ও তাদের সান্ত¡না দেন। এসময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও হামলার শিকার ব্যক্তিরা আর্থিক সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনিক, হৃদয় ও আবদুল কাদের মিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠানো হয়। অনিক ও হৃদয় দু’জনই ছিল ফেনী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। উভয়ে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় গুরুতর আহত হয়। এ সময় তারা প্রাইভেট টিউটরের বাসা থেকে রিকশায় নিজ বাসায় ফিরছিল। বোমা বিস্ফোরণে অনিকের শরীরের বিভিন্ন অংশ ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে যায়। তার দুটি চোখই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনিককে প্রথমে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তার চোখের চিকিৎসার জন্য জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের চেন্নাই পাঠানো হয়। অপরদিকে ফেনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাদের মিয়া ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি জেলা শহরে দুষ্কৃতকারীদের নৃশংস বোমা হামলায় গুরুতর আহত হন। সকাল ৯ টা ৫ মিনিটে পুলিশ কোয়ার্টারের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে দুষ্কৃতকারীরা তাকে বহনকারী মাইক্রোবাসে পেট্রোল বোমা ছুড়ে দেয়। বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে তার দায়িত্ব পালনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাওয়ার পথে ওই হামলা চালানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং এলজিআরডি সচিব আবদুল মালেক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×