ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেলের স্লিপার কারখানা দুর্নীতির আখড়া

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রেলের স্লিপার কারখানা দুর্নীতির আখড়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ॥ বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন কংক্রিট স্লীপার কারখানায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের পাথর, ভেজাল বালি ও সিমেন্ট দিয়ে স্লীপার তৈরী করা হচ্ছে। কারখানাটি প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর ৯ ফেব্রুয়ারি ফের চালু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কারখানাটি বন্ধ থাকলেও থেমে থাকে না দূর্নীতি। স্লীপার তৈরির কাঁচামাল হিসেবে নিম্নমানের পাথর, বালি ব্যবহারে কারখানার আইডব্লিউর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দেশের একমাত্র সরকারি স্লীপার কারখানার আইডব্লিউ পদে কর্মরত ফারুক আহমদ ঠিকাদারের সহায়তায় নিম্নমানের স্লীপার তৈরী করে লাখ লাখ টাকা আত্নসাত করছেন। গত বছরের ২৮ নবেম্বর শ্রমিক স্বল্পতার কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। কারখানার ভেতরে কংক্রিট স্লীপার তৈরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে অসংখ্য রিং। অবহেলার কারণে কোটি টাকার রিং ও অন্যান্য মালামাল মাটি ও লতা-পাতায় গ্রাস করেছে। যা এখন ব্যবহারে ঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া কারখানার পাশে তৈরি অসংখ্য স্লীপার অযতেœ-অবহেলায় পড়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক জানায়, নিম্নমানের বালি, ভেজাল সিমেন্ট ও বালি ওয়াশ না করে তৈরি করা হয়েছে স্লীপার। নিম্নমানের পাথর ও ভেজাল সিমেন্ট দিয়ে তৈরির কারণে প্রতিদিন ৪/৫টি স্লীপার ভেঙ্গে পড়ে। উৎপাদিত এসব নিম্নমানের স্লীপার অল্প দিনেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে তারা জানায়। শ্রমিকরা আরও বলেছে, অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। এছাড়া সম্প্রতি কারখানার স্লীপার উৎপাদনের স্বার্থে রজব আলী, রনজিৎ দাস, ফরহাদ হোসেন, প্রশান্ত রঞ্জন দাসসহ ৬ শ্রমিককে ঠিকাদার নিয়োজিত মজুরী প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু একই ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে রেলওয়ের কাছ থেকে ভুয়া বিল বানিয়ে ২/৩ মাস ধরে পুরো টাকাই হাপিস করার অভিযোগ উঠেছে আইডব্লিউ ফারুক আহমদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের দায়িত্বে ৫/৬ টিএলআর শ্রমিক কাজ করলেও ১৪ চৌকিদারের নামে ভুয়া বিল তোলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আইডব্লিউ ফারুক আহমদ তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে মিল ইয়ার্ডে স্টক রিজেক্ট পাথর কোথায় গেল সে প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
×