ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে খাসজমিতে দোকান নির্মাণের হিড়িক ॥ প্রশাসন নীরব

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাঙ্গাবালীতে খাসজমিতে দোকান নির্মাণের হিড়িক ॥ প্রশাসন নীরব

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মৌডুবী বাজারে সরকারী খাসজমি দখল করে একের পর এক পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারী খাসজমি এভাবে বেহাত হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে দখলকারীরা আরও উৎসাহী হয়ে উঠছে এবং নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করে চলছে। সরেজমিনেও দেখা গেছে, মৌডুবী বাজার ও কাজীকান্দা কালভার্ট সংলগ্ন পশ্চিম পাশে সরকারী খাসজমি দখল করে এরইমধ্যে একাধিক পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং আরও একাধিক পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। পাকা ভবনগুলোর মধ্যে দোকানের সংখ্যাই বেশি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে, মৌডুবী বাজার-কাজীকান্দা কালভার্ট সংলগ্ন কাজীকান্দা মৌজার ১ নম্বর খতিয়ানের খাসজমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত কালাচানপাড়া গ্রামের হোসেন হাওলাদার ও একই ইউনিয়নের মনিপাড়া গ্রামের মিলন গাজী বর্তমানে যৌথভাবে তিন কক্ষ বিশিষ্ট দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। গত দু’ সপ্তাহ ধরে এর নির্মাণকাজ চলছে। বিশাল জায়গা দখল করে তিন কক্ষের পাকা দোকানের একতলার অবকাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন দোতলার কাজ চলছে। এ ভবনের দক্ষিণ পাশে মনিপাড়া গ্রামের শাহজাহান নামের এক ব্যক্তিও একটি একতলা পাকা দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এভাবে একের পর এক সরকারী খাসজমি বেহাত হলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। ফলে অবৈধ দখলকারীরা আরও উৎসাহিত হয়ে উঠছে। প্রসঙ্গত মৌডুবির ওপারেই রয়েছে পায়রা সমুদ্রবন্দর। যা ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে ওই এলাকার জমি ক্রমে সোনারহরিণ হয়ে উঠেছে। বেড়েই চলছে জমির দাম। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দাম দিয়েও মিলছে না জমি। এ অবস্থায় এভাবে সরকারী খাসজমি বেহাত হয়ে যাওয়ায় এলাকার লোকজন উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ভূমি বিভাগের এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজদের হাত করেই সরকারী খাসজমির দখলোৎসব চলছে। এ বিষয়ে বড়বাইশদিয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) চান মিয়া জানান, মৌডুবি এলাকায় খাসজমি কম। সার্ভেয়ার দিয়ে খাসজমি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
×