কিম জং-উনের সৎ ভাই কিম জং-ন্যামের খুনের পেছনে উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরদের হাত রয়েছে বলে দৃঢ় ধারণার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারী সূত্র। দুটি সূত্র থেকে এমন ধারণার বিষয়ে নিশ্চিত হলেও ঠিক কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পরিষ্কার করেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দরে তাকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার টিভি চোসুনের খবর। বিমানবন্দরেই হত্যার টার্গেট হন ৪৫ বছর বয়সী কিম জং-ন্যাম। তিনি উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং-ইলের বড় ছেলে। খবর বিবিস/ ওয়েব সাইটের
দীর্ঘ সময় উত্তর কোরিয়ার বাইরে থাকা ন্যাম নিজেদের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্যে গুটিকয়েক যেসব দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। এমনকি মালায়েশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে যেতে পারেন।
আর কিম জং-ন্যামকে খুনের জন্য ওই দেশটিকেই বেছে নেয়া হয়েছে। ওদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েকজন সরকারী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চোসুনের খবরে বলা হয়, দুই নারী বিমানবন্দরে সূচের মাধ্যমে কিম জং-ন্যামকে বিষ প্রয়োগ করেছে। ওই দুই নারী উত্তর কোরিয়ার চর বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে গেছে এবং ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় অবশ্য এ খবর নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে কিমের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক ব্রিটিশ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, মৃত্যুর ঘটনায় বিষপ্রয়োগ ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সন্দেহ
ন্যামকে হত্যার পেছনে উত্তর কোরীয় চরদের হাত
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: