ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে প্লাষ্টিক মেলা শুরু

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাজধানীতে প্লাষ্টিক মেলা শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘১২তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা-২০১৭’ শুরু হয়েছে। এ মেলার উদ্বোধনকালে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আবারো হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, প্লাস্টিক কারখানায় বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনে সরকার কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। পরিবেশের ক্ষতি করে- এমন কোনো শিল্পায়নের প্রতিও সরকারের সমর্থন নেই; ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এ মেলার আয়োজন করেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ তে আমরা প্লাস্টিক শিল্পকে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাতের তালিকায় শীর্ষে রেখেছি। পরিবেশবান্ধব সবুজ প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশে সরকার বদ্ধপরিকর। তবে এ খাতের দূষণ ও অনিয়ম কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। পরিবেশ দূষণ এড়াতে তিনি প্লাস্টিক শিল্প কারখানায় বাধ্যতামূলকভাবে ইটিপি স্থাপনের জন্য উদ্যোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্পের বিকাশে সরকার ইতোমধ্যে মুন্সীগঞ্জে ৫০ একর জমির উপর প্লাস্টিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৬০টি প্লাস্টিক শিল্প ইউনিট স্থাপন করা হবে। যেখানে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আগামী বছরের জুনে এ কাজ শেষ হবে। শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা পূরণের জন্য এ খাতকে রপ্তানি বহুমুখীকরণের পাশাপাশি বৈচিত্রকরণ ও মূল্য সংযোজনের উদ্যোগ নিতে হবে। রপ্তানি আয় বাড়াতে এ খাতের নতুন পণ্যগুলোকে রপ্তানির তালিকায় আনতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিক তৈরি পণ্যের প্রচ্ছন্ন রপ্তানির পরিমাণ প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ খাতে সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার ওপরে। আমাদের রপ্তনির তালিকায় প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২তম। অনুষ্ঠানে বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পনির নির্বাহী পরিচালক জুডি ওয়াং প্রমুখ। এদিকে ১২তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা-২০১৭ এর আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ৪ দিনব্যাপী এ মেলায় বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তিন শতাধিক প্লস্টিক পণ্য, প্যাকেজিংও প্রিন্টিং সামগ্রী, যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি উদ্বানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এতে এশিয়া ও ইউরোপরে বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণের ফলে দেশের প্লা্স্টিক শিল্পখাতে প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত প্লস্টিক পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে দেশি বিদেশি ক্রেতারা স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
×