ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসির সড়কে বসানো হচ্ছে ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ডিএনসিসির সড়কে বসানো হচ্ছে ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সড়কগুলোতে ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এর সঙ্গে রাতে পথচারীদের সুবিধার্থে এবং যান চলাচল নির্বিঘœ করতে সড়কগুলোতে লাগানো হবে ৪০ হাজার নতুন এলইডি বাতি। এজন্য প্রায় ৪৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে প্রায় ৩৫৪ কোটি টাকা দেয়া হবে, বাকি ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পে অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় মোট ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে ২ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৯৫৪ কোটি টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন সড়কে থাকা বাতি ও টিউবলাইটগুলোর লুমিন্যান্স লেভেল (আলোর উজ্জ্বলতার মাত্রা) পর্যাপ্ত নয়। রাতের বেলায় অন্ধকার মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন ন্যূনতম ১৫ এলএক্স এর বাতি। ডিএনসিসির বাতিগুলোর লুমিন্যান্স লেভেল ৩ থেকে ৪ এলএক্স। ফলে পথচারীরা ঠিকমত দেখতে পান না। এছাড়া যান চলাচলেও অসুবিধা হয়। মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটির ইন্টার সেকশনসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসি ক্যামেরা এবং কেন্দ্রীয় সিসিটিভি কন্ট্রোল সেন্টার স্থাপন করা হবে। এতে ঢাকা উত্তরের জনগণ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে মোবাইল টিম থাকবে। ফলে অপরাধ প্রবণতা এবং যানজটও কমে আসবে। এসময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকেও (ডিএসসিসি) একই রকম প্রকল্প নিয়ে আসার আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। মুস্তফা কামাল বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যে, এখন থেকে যেখানে রেল ক্রসিং থাকবে সেখানে ওভারপাস নির্মাণ করতে হবে। এতে মানুষ ও যান চলাচলে সময় সাশ্রয় হবে ও নিরাপত্তা ঝুঁকি কমবে। এছাড়া সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে রাস্তা তৈরির মাধ্যমে সীমান্ত চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুমোদিত অন্য প্রকল্প ॥ সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯৮০ কোটি টাকা। আলীকদম-জালানীপাড়া-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭৪ কোটি টাকা। গোপালগঞ্জ এবং বাগেরহাট পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬৫ কোটি টাকা। কোর্ট হতে রাজশাহী বাইপাস সড়ক পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। এছাড়া অনুমোদন পেয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নের ১ম সংশোধিত প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা। উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৪ কোটি টাকা। ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা। এছাড়াও প্রায় ১৬৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের সাভার সেনানিবাসে মিলিটারি পুলিশ সেন্টার ও স্কুল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটিও সভায় অনুমোদন পেয়েছে।
×