ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গুলশানে তৈরি ২৯১ দোকান মালিকদের বুঝিয়ে দিলেন মেয়র

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গুলশানে তৈরি ২৯১ দোকান মালিকদের বুঝিয়ে দিলেন মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় দেড় মাস পর ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন রাজধানীর গুলশান-১ এর ডিসিসি কাঁচা মার্কেটে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের মাঝে অস্থায়ীভাবে শেডে তৈরি করা ২৯১ দোকান বুঝিয়ে দিয়েছেন মেয়র আনিসুল হক। মেয়রের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দেড় মাস পর অস্থায়ীভাবে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে পারায় অনেকটাই খুশি বলে জানা গেছে। ডিএনসিসির বিশেষ উন্নয়ন খাত থেকে ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইটের ফ্লোর, বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে ওই ৩টি অস্থায়ী শেড নির্মাণ করা হয়। এর মাধ্যমে পুনরায় বরাদ্দকৃত স্থানে বহুতল মার্কেট নির্মাণ পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ডিএনসিসি মেয়র ক্ষতিগ্রস্ত তিন ব্যবসায়ী মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ইকবাল হোসেন ও আব্দুল গফুর মোল্লার হাতে প্রতীকী বরাদ্দ পত্র তুলে দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি অস্থায়ী মার্কেটটি ঘুরে দেখেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. সালেহ উদ্দিন, সংস্থাটির সচিব দুলাল কৃষ্ণ সাহা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম, নাসির উদ্দিনসহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ২৯১ জন দোকান মালিক এসব দোকান বুঝে নেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁশ, প্লাস্টিক ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এসব দোকান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাদের দোকান মার্কেটের নিচতলায় ছিল তারা ভেতরের মাঠের অংশে বরাদ্দ পেয়েছেন। আর দোতলার ব্যবসায়ীরা বসেছেন বাইরে পার্কিংয়ের অংশে। তিনটি ব্লকে দোকানগুলো তৈরি করা হয়েছে। মার্কেটে যার দোকান যত নম্বরের ছিল এখানেও একই ক্রমানুসারে তাদের দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অস্থায়ীভাবে নির্মিত শেডের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, ‘এ’ ‘বি’ ‘সি’ তিনটি ক্যাটাগরিতে ২৯১টি অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ২ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় দোকান পরিচালনা করতে পারবেন। যেসব দোকান মূল বরাদ্দ গ্রহীতা ভাড়া দিয়েছেন সেক্ষেত্রে ৩শ’ টাকা ডিএননিসি আর দোকান মালিক ১৭শ’ টাকা পাবেন। অগ্নিকা-ের দিন থেকে শুরু করে আগামী তিন মাস কোন দোকানের ভাড়া নেয়া হবে না। এখন থেকে ডিএনসিসি ও দোকান মালিক বা ব্যবসায়ীর সরাসরি যোগাযোগ থাকবে। নতুন ভবন নির্মাণ প্রসঙ্গে মেয়র আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা দায়িত্বে আসার আগেই বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য এ জায়গাটির কাজ পেয়েছে একটি কোম্পানি। তাদের সঙ্গে এখানে অবস্থান করা ব্যবসায়ীরা নতুন করে আলোচনা শুরু করুন। আপনারা ব্যর্থ হলে মেয়র ও কাউন্সিলর সেখানে সমন্নয় করবে। তবে এখানে যেই কাজ করতে আসুক ব্যবসায়ীদের কোন ক্ষতি হবে না-এটা নিশ্চিত করতে পারি। মেয়র নাগরিকদের উদ্দেশ করে বলেন, জবর দখলসহ যে কোন অনিয়ম দেখলে সরাসরি তার মোবাইলে এসএমএস করবেন আমার কাছে। আপনারা একটা এসএমএস করবেন যে অমুক আইসা টাকা চাইছে। একটা এসএমএস করবেন যে অমুক জোর করে এটা করতেছে। দেখবেন পরের দিন সকালেই ইনশাল্লাহ কাজ শুরু হয়ে যাবে। বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, নেতাদের সম্পর্কে অনেক রকমের কথা শোনা যায়। আপনারা নেতা হয়েছেন কারণ লোক আপনাদের পছন্দ করে।
×