ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভালবাসা দিবসে মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

ভালবাসা দিবসে মিলনমেলা

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভালবাসা মানে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার যুগল প্রেম নয়। ভালবাসা মানে একে অপরকে ¯েœহ-মমতার বেড়াজালে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পথচলা। মূলত, ভালবাসার অর্থটাই এ সমাজে পরিবর্তিত হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার জুটির মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে। এক সময় চিঠি আদানপ্রদানের মধ্য দিয়ে ভালবাসার বহির্প্রকাশের সবচেয়ে বড় অবলম্বন ছিল। কিন্তু ডিজিটালের এ যুগে এসে চিঠি উড়ে গেছে সে সঙ্গে রোমান্টিক বুলিও যেন থেমে গেছে। চট্টগ্রামে বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালনে দেখা গেছে, এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। নগর ফুল নামের একটি সংগঠন এ আয়োজন করেছে নগরীর সিআরবিস্থ শিরীষতলায়। এ আয়োজনে ছিল আবেগঘন পরিবেশে ভালবাসার আদানপ্রদানের কিছু স্মৃতি কাহিনী আর উন্মুক্ত আকাশের নিচে তবে ভালবাসা দিবসের অর্থপূর্ণ তাৎপর্য পরিবর্তিত হয়ে তরুণদের মাঝে চলে এসেছে। ভালবাসার কথাগুলো গানে গানে আগতদের মাঝে জানান দেয়া। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিআরবির শিরীষতলা আর ডিসি হিলকে ঘিরে ছিল জুটিদের মিলনমেলা। ছিল বসন্ত উৎসব। বসন্তের আগমনী বার্তা যখন প্রকৃতিতে ছেয়ে গেছে তখন যুগলরাও পিছিয়ে ছিল না চট্টগ্রামের নান্দনিক স্পট পাহাড় আর সবুজ বেষ্টনীর ডিসি হিল আর শিরীষতলাকে ঘিরে। তবে বসন্ত উৎসবের সে আয়োজনে সেই পোশাকেই সকালে অনেক তরুণী নিজেকে রাঙিয়ে তুলে শিরীষতলায় মেতেছে ভালবাসার আমন্ত্রণে। জুটি বাঁধা সেই যুগলগুলো সিআরবির সাতরাস্তার আশপাশে থাকা গাছের গুঁড়ি থেকে শুরু করে রেলের বাংলোর সিঁড়ি পর্যন্ত কোথাও যেন অবস্থান নিতে আগ-পিছ চিন্তা করেনি। যে যেখানে চেয়েছে সেখানেই বসেছে। তবে একটু বেকায়দায় পড়েছে আবাসিক এলাকার পরিবারগুলো। পরিবার-পরিজন নিয়ে বছরের প্রতিটি দিনই এমন চিত্র দেখতে হয় তাদের। বিকেলে নগর ফুল এক ব্যতিক্রমী সমাবেশের আয়োজন করে শিরীষতলায়। এ আয়োজনে ছিল ভালবাসার বিভিন্ন স্মৃতির বর্ণনা। বিশ্ব ভালবাসা দিবসের আবেগঘন মুহূর্ত আর স্মৃতি নিয়ে জমে উঠেছিল মঙ্গলবার সকাল থেকে সিআরবির শিরীষতলাসহ পুরনো নগরীর নান্দনিক স্পটগুলো। এছাড়াও পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুসহ নগরীর বিভিন্ন হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ এবং মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোও ছিল জমজমাট। তবে এ জমজমাট পরিবেশে রাজসিক আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের বেশিরভাগই ছিল তরুণ-তরুণী। যশোরে ‘রক্তদান উৎসব’ যশোর অফিস জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে যশোরে ব্যতিক্রমী আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্বেচ্ছায় ‘রক্তদান উৎসব’। মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে প্রতিবছর যশোর পৌর পার্কে আয়োজন করা ব্যতিক্রমী উৎসব। মানুষকে রক্তদানে উদ্ধুব্ধ করার এই প্রয়াস এগিয়ে নিতে আহাদ রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্র যশোর ও থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়া সমিতি খুলনা বিভাগ, উৎসব কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, আমার যশোর ও প্রিয়াঙ্গন জুয়েলারির যৌথ উদ্যোগে ৭ম বারের মতো এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘যাদের আছে মহৎ প্রাণ তারাই করে রক্ত দান’, ‘অর্থ সম্পদ দান করলে সমাজে সম্মান বাড়ে, রক্ত দানে বাড়ে শুধু মাহাত্ম’, ‘আপনার দেয়া রক্ত হতে পারে অন্যের বেঁচে থাকার মূল চালিকাশক্তি’ এমন আহ্বানে মানুষের প্রতি ভালবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শতাধিক ১৮ উর্ধ বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও যুবক-যুবতী এ উৎসবে রক্তদান করেন। পৌর উদ্যানের খোলা আকাশের নিচে ক্যাম্প বসিয়ে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শুরু হয় রক্তদান উৎসব। দুপুর ১২টায় রক্তদান উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। বিকেলে ‘রোগী ও রক্তদান’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কুয়াকাটায় মাতোয়ারা শত শত যুগল নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া থেকে জানান, ফাগুনের আগুন ধরা রঙে হৃদয় রাঙানো বাসনা নিয়ে কুয়াকাটায় জড়ো হয়েছে শত শত যুগল। আর সৈকত পাড়ের বেলাভূমে নীল জলের পা ভেজানো স্পন্দন কিংবা অনুভূতি কী যে শিহরণ যোগায় শরীরে তা খুব কাছাকাছি থেকেই বোঝা যায়। হাতে হাত ধরে একে অপরকে বোঝানো যায়। মনের সেই জমানো, অব্যক্ত কথা প্রকাশেই এসব যুগল বেছে নেয় মঙ্গলবারের এ দিবসকে। আর স্পট তো কুয়াকাটা। সিরাজগঞ্জে ব্যতিক্রমী আয়োজন স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুস্থ হৃদয়-সুন্দর ভালেবাসা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ উপলক্ষে দেশের প্রতিথযশা কার্ডিওথোরসিক সার্জন অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপির নেতৃত্বে মিনি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আয়োজকরা বলছেন, সুস্থ হৃদয় থাকলে সুন্দর ভালবাসা সম্ভব। আর অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, ভালবাসার জন্যই সুস্থ থাকা জরুরী।
×