ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী

বিলাতে পোস্ট ট্রুথ যুগে ‘সত্যবাণীর’ আবার আবির্ভাব

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

বিলাতে পোস্ট ট্রুথ যুগে ‘সত্যবাণীর’ আবার আবির্ভাব

বাংলাদেশের রাজনীতি এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, ছোট দেশ কিন্তু তার প্রভাব বর্তেছে বিশ্বের অনেক বড় দেশেও। তার কারণ, দ্রুত বধিষ্ণু বাংলাদেশের মানুষ জীবন-জীবিকা, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি কারণে কয়েক শতক আগে থেকেই ইউরোপে এবং মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এখন আমেরিকাতেও অভিবাসী বাঙালির সংখ্যা কম নয়। লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলের মতো নিউইয়র্কের একটি এলাকাকেও বাঙালিপাড়া বলা হয়। লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলকে তো ব্রিটিশ মিডিয়াতে বলা হয় ‘বেঙ্গলি ডিস্ট্রিক্ট’। ব্রিটেনের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রাজনীতিতেও বাংলাদেশীদের অবস্থান কম শক্ত নয়। হাউস অব কমন্সে এবার নির্বাচিত তিনজন এমপিই হচ্ছেন বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে দু’জন টিউলিপ সিদ্দিক এবং রোশনারা আলী লেবার পার্টির শ্যাডো কেবিনেটেরও সদস্য ছিলেন। টিউলিপ সম্প্রতি শ্যাডো কেবিনেট থেকে নীতিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন। এই যে দেশে-বিদেশেÑবিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশীদের শুধু বসতি নয়, আধিপত্য বাড়ছে। তার একটি প্রধান কারণ, তার শক্তিশালী ভাষা ও সংস্কৃতির সম্প্রসারণ। ভাষা ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করেই বাংলাদেশীদের একটি ভূ-জাগরণ ঘটেছে বলা চলে। বাংলাদেশীদের চাইতে জাগতিক বিষয়ে অধিকতর উন্নত অন্য কোনো কম্যুনিটির বেলাতে এই জাগরণ এভাবে ঘটেনি। আমি একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। বিলাতে বাস করছি ৪০ বছরের বেশি সময়। লন্ডন থেকে প্রকাশিত একাধিক পত্রিকা সম্পাদনা করেছি। কিন্তু আমি জানতাম না ব্রিটেনে বাঙালির আগমনের কাল প্রায় চারশ’ বছর। অবশ্য ব্যাপকভাবে বাংলাদেশীদের বিলাতে আগমন শুরু হয় গত শতকের পঞ্চাশের দশকে। বিলাতের তরুণ বাঙালি গবেষক ফারুক আহমদের লেখা বই (বিলাতে বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা) এবং আরেক তরুণ সাংবাদিক মাহবুব রহমানের লেখা ‘বিলাতে বাংলা মিডিয়ায়’ বিভিন্ন প্রাচীন দলিল দস্তাবেজ ঘেঁটে দেখানো হয়েছে। ১৬১৪ সালে ‘বে অব বেঙ্গল’ থেকে একজন ইস্ট ইন্ডিয়ান প্রথম ইংল্যান্ডে আসেন, তিনি সম্ভবত: বাঙালি। বিলাতে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশেরও শতবর্ষ পূর্ণ হলো গত বছর ২০১৬ সালে। ১৯১৬ সালে ইংল্যান্ডে প্রথম বাংলা পাক্ষিক সত্যবাণী প্রকাশিত হয়। তার আগে ১৯০৯ সালে সিলেট থেকে লন্ডনে আগত প্রখ্যাত বাঙালি বাগ্মী বিপীন চন্দ্র পাল ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করেছিলেন মাসিক স্বরাজ। তারপর তিনি প্রকাশ করেন ইংরেজি মাসিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট।’ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করায় দুটি প্রকাশনাকেই ব্রিটিশ সরকার বন্ধ করে দেন। ১৯১৬ সালে লন্ডন থেকে ‘সত্যবাণী’ নামে কাগজ প্রকাশিত হওয়ায় একথা বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে যে, শতাধিক বছর আগেও বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র পাঠের মতো কিছু বাঙালি (যতো সংখ্যাল্পই হোক) বিলাতে ছিলেন। অনেকে ধারণা করেন বিলাতে প্রথম বাঙালিদের বেশির ভাগ সিলেট ও নোয়াখালীর বাসিন্দা) আসা শুরু হয় জাহাজি হিসেবে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জাহাজে লস্কর-কাপ্তান ইত্যাদি পদ ছিলো তাদের। তারা স্বল্পশিক্ষিত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে প্রাপ্ত তথ্যাদি দেখে মনে হয়, এই ধারণাটি সঠিক নয়। যারা প্রথম এ দেশে এসেছেন, তারা উচ্চশিক্ষিত না হলেও তাদের অনেকেই মোটামুটি শিক্ষিত ছিলেন। অন্তত মাতৃভাষায় প্রকাশিত সংবাদপত্র পাঠের মতো শিক্ষা ও আগ্রহ তাদের ছিল। আমার ধারণা, বাংলা সংবাদপত্রই বিলাতে বাঙালি বিশেষ করে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে সংগঠিত ও শক্তিশালী কমিউনিটিতে পরিণত করেছে। তার ভাষা ও সংস্কৃতিকেও বহির্বিশ্বে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। এটা শুধু ব্রিটেনের বেলাতে নয়, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ইত্যাদি ইউরোপিয়ান দেশ ও আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের বহু দেশ সম্পর্কেও সত্য। সুইডেনে, জার্মানিতে, ফ্রান্সে বাঙালি সংস্কৃতির কেন্দ্র আছে। আমি যখন জাপানে যাই, তখন সেখান থেকে প্রকাশিত হতো ‘মানচিত্র’ নামে একটি বাংলা পত্রিকা। ইতালির রাজধানী রোম থেকে প্রকাশিত হয় একটি সাপ্তাহিক অথবা পাক্ষিক পত্রিকা। আর বাংলাদেশীদের (মুখ্যত সিলেটিদের) ফুটিন ও রেস্টুরেন্ট নেই এমন দেশ সম্ভবত বিশ্বে এখন খুঁজে পাওয়া যাবে না। বলতে গেলে ইউরোপের মানুষের খাদ্যাভ্যাস বদলে দিয়েছে বাংলাদেশী খাবারের দ্রুত প্রসার। বিলাতে বাংলা সংবাদপত্রের সংখ্যা এখন ডজনখানেকের বেশি। বেতার বাংলা নামে সার্বক্ষণিক বেতার কেন্দ্র, অর্ধ ডজন টেলিভিশন কেন্দ্র, অনলাইন সংবাদপত্র ইত্যাদি রয়েছে। আমেরিকার নিউইয়র্কেও তাই। লন্ডনে এবং নিউইয়র্কে প্রতি বছর বাংলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনতো অহরহই হচ্ছে। সৈয়দ মুজতবা আলী লিখেছিলেন, ভিন দেশে চারজন বাঙালি (হিন্দু) একত্রিত হলেই কালীমন্দির গড়ে। একথাটা এখন সত্য নয়। এখন চারজন বাঙালি কোথাও একত্র হলেই একটি বাংলা সংস্কৃতি কেন্দ্র তৈরি করে। বিলাতে এই ধরনের কেন্দ্র আছে শতাধিক। বাংলা সংবাদ মাধ্যমগুলো এই সংস্কৃতি কেন্দ্রগুলোর প্রচার ও প্রসারতায় সাহায্য জোগায়। যতোদিন বিলাতে বাংলা মিডিয়া গুরুত্বহীন ও শক্তিহীন ছিলো, ততোদিন বাঙালি কমিউনিটিও ছিলো শুধু সরকারি অবহেলা নয়, নানা ধরনের বর্ণবাদী নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার। বর্তমানে বাংলা মিডিয়া শক্তিশালী হওয়ার পর বাংলাদেশী কমিউনিটিও শক্তিশালী হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার তাদের দাবি দাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাংলা মিডিয়ার জোরালো প্রতিবাদের ফলে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী অভিবাসীদের স্বার্থ ও অধিকারবিরোধী বহু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হয়েছেন। সম্প্রতি একটি উদাহরণ দেই। বাঙালি অধ্যুষিত হোয়াইট চ্যাপেল এলাকায় একটি স্কুলের নাম ওসমানী স্কুল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপাতি জেনারেল ওসমানীর নামে এই স্কুলের নাম। বাংলাদেশী ছাত্র সংখ্যাও এই স্কুলে অধিক। সম্প্রতি স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ এই স্কুলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বাংলা মিডিয়াগুলো এর জোরালো প্রতিবাদ জানায় এবং তার ফলে বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জোরালো আন্দোলন গড়ে ওঠে। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেও যখন বিলাতের বাংলা মিয়িয়ার কোনো প্রচার ও গুরুত্ব ছিলো না, কমিউনিটিও ছিলো শক্তিহীন, তখন এই ধরনের প্রতিবাদ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো গুরুত্ব পেতো না। এখন বাংলাদেশীদের যে কোনো ছোট-বড় সমস্যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরকে শুধু গুরুত্ব দেন না, অনেক ক্ষেত্রে সেই খবর অনুযায়ী নিজেদের সিদ্ধান্ত পাল্টান। এটা লন্ডনের বাংলা মিডিয়ারই কৃতিত্ব বলতে হবে। বাংলা মিডিয়ার প্রচার এবং বাংলাদেশী কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের ফলেই ওসমানী স্কুলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ পাল্টাতে বাধ্য হয়েছেন। পঁচিশ বছর আগেও ব্রিক লেনসহ পূর্ব লন্ডনের বাঙালি পাড়া ছিল বর্ণবাদীদের নিয়মিত হামলার কেন্দ্র। আলতাফ আলী নামে এক যুবককে বাংলাদেশী পাড়াতেই প্রকাশ্যে বর্ণ বিদ্বেষীরা খুন করে। এককালে এই ধরনের খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে বহু বাংলাদেশী। এই অবস্থার এখন পরিবর্তন হয়েছে। বাংলা মিডিয়া কমিউনিটিকে এই হামলা সম্পর্কে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ করেছে। এই এলাকায় মিডিয়ার প্রতিবাদের মুখে পুলিশী হয়রানি বন্ধ হয়েছে। বাংলাভাষা শিক্ষাদানের জন্য কমিউনিটি স্কুল গড়ে উঠেছে। পূর্ব লন্ডনে বাংলা টাউন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা টাউনে অনেক রাস্তাঘাটের নাম বাংলায় লেখা। নিউইয়র্ক শহরেও একই অবস্থা। যা দু’তিন দশক আগেও কল্পনা করা যেত না। আমি আজ বিলাতে বাংলা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় ইতিহাস লিখতে বসিনি। এই ইতিহাস জানতে হলে ফারুক আহমদের ও মাহবুব রহমানের গ্রন্থ ও ইতিহাসভিত্তিক লেখা সংগ্রহ করে পড়তে হবে। আমার আজকের লেখায় উদ্দেশ্য, কোনো সম্প্রদায়ের হাতে শক্তিশালী মিডিয়া থাকলে তা সেই সম্প্রদায়কে বিদেশেও কতটা শক্তিশালী করে তোলে, ইউরোপ ও আমেরিকার নজির দেখিয়ে তা আমার পাঠকদের কাছে তুলে ধরা। শুধু ব্রিটেনে নয়, গোটা ইউরোপে এবং আমেরিকায় আজ বাংলাদেশীরা যে এতো শক্তিশালী কমিনিটি তার একটি প্রধান কারণ তাদের মাতৃভাষার মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচলিত শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম। ১৯১৬ সালে ‘পাক্ষিক সত্যবাণীর’ প্রকাশ দ্বারা বিলাতে এই সংবাদ-মাধ্যমের প্রথম প্রতিষ্ঠা। তারপর প্রথম সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা বের হয় ১৯৪০ সালের ১৮ অক্টোবর ইংল্যান্ডের সায়ে জেলার ওকিং মসজিদ থেকে। ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকাগুলোর মধ্যে বাংলা সাপ্তাহিক ‘জনমত’ ৪৮ বছর ধরে প্রকাশিত হয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিদেশের বাঙালিদের সে স্বদেশের খবরও নিয়মিত পরিবেশন করে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পত্রিকাটির ছিল অনন্য ভূমিকা। এখন ব্রিটেনের প্রধান তিনটি সাপ্তাহিক পত্রিকা হলো জনমত, সুরমা ও পত্রিকা। এ ছাড়া অনেকগুলো টেলিভিশন কেন্দ্র, একটি বেতার কেন্দ্র এবং বহু অনলাইন পত্রিকা তো রয়েছেই। বিলাতে বাংলা সাংবাদিকতা বাংলাদেশী নারীদের মধ্যে জাগরণ ঘটিয়েছে। লন্ডনে আছে জাগো নারী কেন্দ্র, নিজস্ব মুখপত্র নারী। আধুনিক প্রযুক্তি-কমপিউটার, মডেম, ইন্টারনেট ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে বাংলা মিডিয়া এখন বহু ক্ষেত্রে ব্রিটিশ মিডিয়ার সঙ্গে টেক্কা দেয়। বর্ণ বিদ্বেষীদের হাতে বাঙালি যুবক আলতাফ আলীর নিহত হওয়ার কথা বলেছিলাম। মিডিয়া এবং কমিউনিটির সম্মিলিত আন্দোলনের ফলেই তার নামে পূর্ব লন্ডনে গড়ে উঠেছে শহীদ আলতাফ আলী পার্ক। আবার এই পার্কেই সরকারি অনুমোদনে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে ঢাকার ভাষা শহীদ মিনারের অনুকরণে শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ। এখন ইউরোপের বহু শহরে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে এই শহীদ মিনার। ২০১৭ সালকে আমি বহির্বিশ্বে বাংলা সাংবাদিকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাল বলে মনে করি এই কারণে যে, এর আগের বছরেই (২০১৬) আমরা বিলাতে বাংলা সাংবাদিকতার এক শ’ বছর অতিক্রম করে এক নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। বিলাতের কয়েকজন তরুণ বাংলাদেশী সাংবাদিক উদ্যোগী হয়ে আবার লন্ডন থেকে ‘সত্যবাণী’ কাগজটি পুনঃপ্রকাশ শুরু করেছেন। এবার পত্রিকাটি মুদ্রিত কাগজ নয়, অনলাইন কাগজ। এক শ’ বছর আগে সত্যবাণী প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল অকপটে ও অকুতোভয়ে সত্য প্রচার ও অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই। শতবর্ষ পরেও একই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে পত্রিকাটি প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এ কথাটি আমাকে বলেছেন, নতুন সত্যবাণীর প্রধান সম্পাদক আনাম পাশা। তিনিও একজন তরুণ বাংলাদেশী সাংবাদিক। বলা হচ্ছে, ইউরোপে এখন শুরু হয়েছে পোস্ট ট্রুথ এজ। রাজনীতিতেও বহমান পোস্ট ট্রুথের ধারা। বিলাতে পুনঃপ্রকাশিত সত্যবাণী এই ধারার কোন বৈশিষ্ট্যটি বাংলা সাংবাদিকতায় তুলে ধরে তা দেখার জন্য আমি অপেক্ষায় রইলাম। [ল-ন ১৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০১৭]
×