ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি আনতে জাহাজ কিনছে বিএসসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এলএনজি আনতে জাহাজ কিনছে বিএসসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) দু’টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ক্যারিয়ার ভেসেল কিনছে। দেশে ব্যাপকভাবে এলএনজি ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হলেও দেশে কোন এলএনজি ক্যারিয়ার নেই। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এলএনজি পরিবহনে পুরোপুরি বিদেশ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে নতুন এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জ্বালানি তেল এবং কয়লা পরিবহনেও বিদেশ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে নতুন জাহাজ কিনছে বিএসসি। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে দেশে এলএনজি ব্যবহার শুরু হবে। এলএনজি পরিবহনে উচ্চ কারিগরি দক্ষতার দুই স্তরের জাহাজ প্রয়োজন হয়। মূল জাহাজের মধ্যে একটি সংরক্ষণাগার (ট্যাংকি) থাকবে। এখানেই উচ্চ চাপে প্রাকৃতিক গ্যাসকে তরল অবস্থায় (এলএনজি) আনা হবে। এরপর দেশে এনে এলএনজিকে পুনরায় গ্যাসে (রিগ্যাসিফিকেশন) রূপান্তর করে গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। সরকার এখন পর্যন্ত মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে রিগ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সমঝোতা স্মারক এমওইউ সই করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিটি ক্যারিয়ার ভেসেলের ধারণক্ষমতা হবে ৪০ হাজার ঘনমিটার। এলএনজি ভেসেল দু’টির কাজ মূল চুক্তি সইর ১৮ মাসের মধ্যে শেষ হবে। এ জন্য আজ ঢাকায় বিএসসির সঙ্গে চাইনিজ ইনস্টিটিউিট অব মেরিন এ্যান্ড অফসোর ইঞ্জিনিয়ারিং এইচ বি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা রয়েছে। চীনা কোম্পানিটির জেনারেল ম্যানেজার ইয়ান জুন এমওইউ সই করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় এসেছেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, একটি জাহাজ সাধারণত একটি টার্মিনালের সাত দিনের গ্যাসের চাহিদা পূরণ করতে পারে। এ জন্য একটি জাহাজ যখন টার্মিনালে এসে দাঁড়াবে এর পরবর্তী সাত দিনের মধ্যে আরও একটি জাহাজ আসতে হবে। বিষয়টি চক্রাকারে চলতে একটি টার্মিনালের জন্য একাধিক জাহাজের প্রয়োজন হয়। এলএনজি পরিবহনের পাশাপাশি দেশের জ্বালানি পরিবহনে বিএসসি তেল এবং কয়লা পরিবহনেও একাধিক জাহাজ সংগ্রহ করছে। বিএনসি বলছে, গত এপ্রিলে বিএসসির জন্য প্রতিটি এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মাদার ট্যাংকার নির্মাণে এমওইউ সই করেছে। মাদার ট্যাংকার দু’টি পাওয়া গেলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আমদানিকরা অপরিশোধিত জ্বালানি তেল চট্টগ্রাম বহিঃনোঙ্গর পর্যন্ত পরিবহন করা যাবে। জাহাজ দু’টি বিএসসি বহরে যুক্ত হলে বিদেশী জাহাজের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। এছাড়াও জাহাজ ভাড়ায় দীর্ঘসময়ের জন্য স্থিতিশীলতা বজায় থাকাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা সামাল দেয়া যাবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) চীন থেকে ১৬টি জাহাজ সংগ্রহ করার জন্যে চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গেও এমওইউ সই করেছে।
×