ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাছ ভবন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গাছ ভবন

দূষণ ঠেকাতে ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চীন। গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন রোধে দেশটির দুটো ভবনের মধ্যে রোপণ করা হবে কয়েক হাজার গাছ। আগামী বছরে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে। চীনের শহরগুলো দূষণের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। এই দুর্নাম ঘুচাতেই হয়ত ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। চীনের পূর্ব উপকূলবর্তী শহর নানজিংয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন দুটি, যেখানে ভবনের প্রতি ধাপে রোপণ করা হবে সবুজ গাছ। এক একটি ভবনে থাকবে ১১ হাজার সবুজ গাছ। আর এতে করে সেখানে বসবাসকারী মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন চাহিদা মিটবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই দুটি ভবনের নকশায় দেখা গেছে, ভবনের বাইরেরটা থাকবে গাছপালাবেষ্টিত। ভবনে শপিং কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, জিম, হোটেল, রেস্তরাঁ, কনফারেন্স হল, প্রদর্শনীর জন্য ফাঁকা জায়গা, বিনোদনমূলক স্থাপনার পাশাপাশি থাকবে বাচ্চাদের স্কুলও। এই কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, ইতোমধ্যে ভবনগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে এগুলো তৈরি হয়ে যাবে। এগুলোর পর দেশটির আরও কয়েকটি শহরে এমন ভবন বানানো হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। ‘নানজিং গ্রীন টাওয়ার’ নামের ওই ভবনগুলোর নকশা করেছেন বিখ্যাত স্থপতি স্টেফানো বোইরি। তিনি বলেন, ভবন দুটো হবে পুরোপুরি সবুজ। নানজিং গ্রীন টাওয়ার দুটোর মধ্যে একটি ভবনের উচ্চতা ৬০০ ফুট। দ্বিতীয়টির উচ্চতা ৩৫৫ ফিট। ভবনের ছাদে থাকবে মিউজিয়াম ও ব্যক্তিগত ক্লাবও। ১ হাজার ১০০ গাছের মধ্যে ৬০০টি বড় লম্বা ধরনের আর ৫০০টি থাকবে মধ্যম আকারের গাছ। এগুলোর পাশাপাশি থাকবে আড়াই হাজার ছোট গাছও। এ গাছগুলো থেকে দৈনিক ৬০০ কেজি অক্সিজেন সরবরাহ হবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তা। এ ছাড়া বছরে ২৫ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করবে গাছগুলো। এর আগেও বোইরির পরিকল্পনা ও নকশায় ভবন তৈরি হয়েছে। ইতালির মিলান টাওয়ার বানিয়েছেন তিনি। ওই ভবনে ৯০০ গাছ লাগানো হয়। নানজিং শহরে যে ভবনগুলো হচ্ছে, সেগুলোর গঠনও অনেকটাই তেমন। মিলানের ওই ভবন ২০০৯ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে চীনের ভবনগুলোর আবাসিক কাঠামোতে গাছপালার সংখ্যা দ্বিগুণ। সেই সঙ্গে ভবনগুলোর মোট উচ্চতাও বেশি। সুইজারল্যান্ডেও এমন ভবন বানানো হয়েছে। Ñডেইলি মেইল
×