ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তামান্না রহমান

কমিউনিটি রেডিও

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কমিউনিটি রেডিও

গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হলো জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ষষ্ঠ বিশ্ব বেতার দিবস।’ বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলো। বেতার দিবসের এবারের থীম ‘তুমিই বেতার’। বর্তমান বাস্তবতায় স্যাটেলাইট চ্যানেল আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার এই যুগেও রেডিও এখনও যে কত শক্তিশালী মাধ্যম, তা অনুধাবন করে সরকার ইতিমধ্যে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিওর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি, সরকারী ও বেসরকারী সেবা, জীবনঘনিষ্ঠ যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে এ্যাডভোকেসি করে আসছে। দেশে বর্তমানে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন ১৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। ১ হাজার তরুণের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৬টি জেলার ১১৫টি উপজেলার প্রায় ৬১ লাখ জনগোষ্ঠী কমিউনিটি রেডিওর সুবিধা ভোগ করছে বলে জানিয়েছে বিএনএনআরসি। কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পর্যায়ে ৫ হাজার ‘শ্রোতা ক্লাব’ গঠিত হয়েছে শ্রোতাদের সমন্বয়ে। উন্নয়ন বিষয়ক নানা ইস্যুতে কমিউনিটি রেডিওগুলো মানুষকে তথ্য সহায়তা দিয়ে যেভাবে ক্ষমতায়িত করছে, সেটি নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্থানীয় পর্যায়ের বেতারকর্মীরা অনেকটা বিনা শ্রমে যেভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেটির আর্থিকমূল্য না হোক, অন্তত মৌখিক স্বীকৃতিটুকু তাঁদের প্রাপ্য। এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। তথ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সঙ্গে আরও ১৫টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর মূল প্রভাব হলো জনগণের দোরগোড়ায় স্থাপিত এই গণমাধ্যম দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরি বলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা ও শোনার সুযোগ। এই নতুন গণমাধ্যম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে তথ্য এবং যোগাযোগের অধিকার এনে দিয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সংলাপ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান খাতগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওসমূহের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়। এ মুহূর্তে আরও অন্তত ৫০-৬০টি কমিউনিটি রেডিও আনুমোদন পেলে অনালোচিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলো কমিউনিটি রেডিওর আওতায় আসবে। এতে কণ্ঠস্বর ভেসে উঠবে দেশের প্রান্তিক মানুষের। তারা সুযোগ পাবে নিজের মতো করে কথা বলার। তাতে জনগোষ্ঠীর ভাবনা জানতে পারবেন দেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানবে তাদের উদ্দিষ্ট মানুষের চাওয়া পাওয়া। লেখক : গণমাধ্যমকর্মীগতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হলো জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ষষ্ঠ বিশ্ব বেতার দিবস।’ বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলো। বেতার দিবসের এবারের থীম ‘তুমিই বেতার’। বর্তমান বাস্তবতায় স্যাটেলাইট চ্যানেল আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার এই যুগেও রেডিও এখনও যে কত শক্তিশালী মাধ্যম, তা অনুধাবন করে সরকার ইতিমধ্যে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিওর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি, সরকারী ও বেসরকারী সেবা, জীবনঘনিষ্ঠ যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে এ্যাডভোকেসি করে আসছে। দেশে বর্তমানে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন ১৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। ১ হাজার তরুণের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৬টি জেলার ১১৫টি উপজেলার প্রায় ৬১ লাখ জনগোষ্ঠী কমিউনিটি রেডিওর সুবিধা ভোগ করছে বলে জানিয়েছে বিএনএনআরসি। কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পর্যায়ে ৫ হাজার ‘শ্রোতা ক্লাব’ গঠিত হয়েছে শ্রোতাদের সমন্বয়ে। উন্নয়ন বিষয়ক নানা ইস্যুতে কমিউনিটি রেডিওগুলো মানুষকে তথ্য সহায়তা দিয়ে যেভাবে ক্ষমতায়িত করছে, সেটি নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্থানীয় পর্যায়ের বেতারকর্মীরা অনেকটা বিনা শ্রমে যেভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেটির আর্থিকমূল্য না হোক, অন্তত মৌখিক স্বীকৃতিটুকু তাঁদের প্রাপ্য। এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। তথ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সঙ্গে আরও ১৫টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর মূল প্রভাব হলো জনগণের দোরগোড়ায় স্থাপিত এই গণমাধ্যম দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরি বলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা ও শোনার সুযোগ। এই নতুন গণমাধ্যম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে তথ্য এবং যোগাযোগের অধিকার এনে দিয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সংলাপ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান খাতগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওসমূহের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়। এ মুহূর্তে আরও অন্তত ৫০-৬০টি কমিউনিটি রেডিও আনুমোদন পেলে অনালোচিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলো কমিউনিটি রেডিওর আওতায় আসবে। এতে কণ্ঠস্বর ভেসে উঠবে দেশের প্রান্তিক মানুষের। তারা সুযোগ পাবে নিজের মতো করে কথা বলার। তাতে জনগোষ্ঠীর ভাবনা জানতে পারবেন দেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানবে তাদের উদ্দিষ্ট মানুষের চাওয়া পাওয়া। লেখক : গণমাধ্যমকর্মীগতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হলো জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ষষ্ঠ বিশ্ব বেতার দিবস।’ বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলো। বেতার দিবসের এবারের থীম ‘তুমিই বেতার’। বর্তমান বাস্তবতায় স্যাটেলাইট চ্যানেল আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার এই যুগেও রেডিও এখনও যে কত শক্তিশালী মাধ্যম, তা অনুধাবন করে সরকার ইতিমধ্যে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিওর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি, সরকারী ও বেসরকারী সেবা, জীবনঘনিষ্ঠ যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে এ্যাডভোকেসি করে আসছে। দেশে বর্তমানে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন ১৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। ১ হাজার তরুণের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৬টি জেলার ১১৫টি উপজেলার প্রায় ৬১ লাখ জনগোষ্ঠী কমিউনিটি রেডিওর সুবিধা ভোগ করছে বলে জানিয়েছে বিএনএনআরসি। কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পর্যায়ে ৫ হাজার ‘শ্রোতা ক্লাব’ গঠিত হয়েছে শ্রোতাদের সমন্বয়ে। উন্নয়ন বিষয়ক নানা ইস্যুতে কমিউনিটি রেডিওগুলো মানুষকে তথ্য সহায়তা দিয়ে যেভাবে ক্ষমতায়িত করছে, সেটি নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্থানীয় পর্যায়ের বেতারকর্মীরা অনেকটা বিনা শ্রমে যেভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেটির আর্থিকমূল্য না হোক, অন্তত মৌখিক স্বীকৃতিটুকু তাঁদের প্রাপ্য। এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। তথ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সঙ্গে আরও ১৫টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর মূল প্রভাব হলো জনগণের দোরগোড়ায় স্থাপিত এই গণমাধ্যম দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরি বলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা ও শোনার সুযোগ। এই নতুন গণমাধ্যম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে তথ্য এবং যোগাযোগের অধিকার এনে দিয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সংলাপ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান খাতগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওসমূহের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়। এ মুহূর্তে আরও অন্তত ৫০-৬০টি কমিউনিটি রেডিও আনুমোদন পেলে অনালোচিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলো কমিউনিটি রেডিওর আওতায় আসবে। এতে কণ্ঠস্বর ভেসে উঠবে দেশের প্রান্তিক মানুষের। তারা সুযোগ পাবে নিজের মতো করে কথা বলার। তাতে জনগোষ্ঠীর ভাবনা জানতে পারবেন দেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানবে তাদের উদ্দিষ্ট মানুষের চাওয়া পাওয়া। লেখক : গণমাধ্যমকর্মীগতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী পালিত হলো জাতিসংঘ ঘোষিত ‘ষষ্ঠ বিশ্ব বেতার দিবস।’ বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে একটি অনুসরণীয় মডেল দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে। এতে অংশ নেয় বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিওগুলো। বেতার দিবসের এবারের থীম ‘তুমিই বেতার’। বর্তমান বাস্তবতায় স্যাটেলাইট চ্যানেল আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার এই যুগেও রেডিও এখনও যে কত শক্তিশালী মাধ্যম, তা অনুধাবন করে সরকার ইতিমধ্যে ২৮টি প্রাইভেট এফএম এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ১২টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র এবং ৩৫টি এফএম পরিচালনা করছে। কাজেই আগামীর বাংলাদেশ হবে রেডিওর বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) ২০০০ সালে থেকে বাংলাদেশে গ্রামীণ জনপদে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উন্নয়নমূলক তথ্য ও জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি, সরকারী ও বেসরকারী সেবা, জীবনঘনিষ্ঠ যাবতীয় তথ্য জনগণের মাঝে সহজ ভাষায় প্রচারের লক্ষ্যে কমিউনিটি রেডিও চালু করতে সরকারের সঙ্গে এ্যাডভোকেসি করে আসছে। দেশে বর্তমানে ১৭টি কমিউনিটি রেডিও প্রতিদিন ১৩৫ ঘণ্টারও বেশি সময় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। ১ হাজার তরুণের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ১৬টি জেলার ১১৫টি উপজেলার প্রায় ৬১ লাখ জনগোষ্ঠী কমিউনিটি রেডিওর সুবিধা ভোগ করছে বলে জানিয়েছে বিএনএনআরসি। কমিউনিটি রেডিও স্টেশন পর্যায়ে ৫ হাজার ‘শ্রোতা ক্লাব’ গঠিত হয়েছে শ্রোতাদের সমন্বয়ে। উন্নয়ন বিষয়ক নানা ইস্যুতে কমিউনিটি রেডিওগুলো মানুষকে তথ্য সহায়তা দিয়ে যেভাবে ক্ষমতায়িত করছে, সেটি নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যমে আরও বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও স্থানীয় পর্যায়ের বেতারকর্মীরা অনেকটা বিনা শ্রমে যেভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছেন, সেটির আর্থিকমূল্য না হোক, অন্তত মৌখিক স্বীকৃতিটুকু তাঁদের প্রাপ্য। এদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সমপ্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি ও সদিচ্ছার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। বাংলাদেশ হচ্ছে কমিউনিটি রেডিও বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়নকারী দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ। তথ্য মন্ত্রণালয় ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সঙ্গে আরও ১৫টি কমিউনিটি রেডিওর অনুমোদন দিয়েছে। বিএনএনআরসির প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কমিউনিটি রেডিওগুলোর মূল প্রভাব হলো জনগণের দোরগোড়ায় স্থাপিত এই গণমাধ্যম দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজেদের কথা সরাসরি বলার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে কণ্ঠহীনদের কণ্ঠস্বর সোচ্চার করা ও শোনার সুযোগ। এই নতুন গণমাধ্যম সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত জনগোষ্ঠীকে তথ্য এবং যোগাযোগের অধিকার এনে দিয়েছে। সুশাসন নিশ্চিতকরণে জনপ্রতিনিধি, সরকারী এবং বেসরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনসাধারণের সংলাপ আদান-প্রদানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রধান খাতগুলোর সঙ্গে জনসাধারণের সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলীয় অঞ্চলে স্থাপিত কমিউনিটি রেডিওসমূহের ভূমিকা সব মহলে প্রশংসিত হয়। এ মুহূর্তে আরও অন্তত ৫০-৬০টি কমিউনিটি রেডিও আনুমোদন পেলে অনালোচিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলো কমিউনিটি রেডিওর আওতায় আসবে। এতে কণ্ঠস্বর ভেসে উঠবে দেশের প্রান্তিক মানুষের। তারা সুযোগ পাবে নিজের মতো করে কথা বলার। তাতে জনগোষ্ঠীর ভাবনা জানতে পারবেন দেশের নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয় সরকারী ও বেসরকারী কর্তৃপক্ষ সরাসরি জানবে তাদের উদ্দিষ্ট মানুষের চাওয়া পাওয়া। লেখক : গণমাধ্যমকর্মী
×