ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ারা দেশী বিদেশী অপশক্তিকে দিয়ে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৮:৩০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

খালেদা জিয়ারা দেশী বিদেশী অপশক্তিকে দিয়ে চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, পরাজয় নিশ্চিত জেনেই আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। সেখানে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়ারা দেশী-বিদেশী নানা অপশক্তিকে দিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্রদ্রোহী ও দেশদ্রোহী। এদের বিচারের আওতায় না আনলে তাদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত বন্ধ হবে না। প্রথমে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, সরকারী দলের বজলুল হক হারুন, নজরুল ইসলাম বাবু ও জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন। আলোচনায় অংশ নিয়ে সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সমৃদ্ধির পথে। আগুন সন্ত্রাসী খালেদা জিয়া ও জোট শরিক যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলাম দেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার, তা আজ প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হওয়া এখন সময়ের দাবি। আর পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, সকল বাধা-বিপত্তিকে উপেক্ষা করেই শুধুমাত্র স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্যই জাতীয় পার্টি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নইলে দেশের চেহারা অন্যরকম হত। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে শক্ত অবস্থানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। বজলুল হক হারুন বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াত জোট নানা ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনই নানা ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু দেশের জনগণ কোন ষড়যন্ত্রই বাস্তবায়িত হতে দেবে না। নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের চরিত্র হনন ও হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু গণমাধ্যমের সৃষ্টি হয়েছে। এরা আসলে কী চায়? ড. ইউনূসসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœকারীদের আইনের আওতায় আনলে এসব বন্ধ হবে। এরা রাষ্ট্রদ্রোহী, দেশদ্রোহী। এদের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের ব্যাপারেও সবাইকে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কাজ শেষ পর্যায়ে ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটির কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্য প্রদানকারী সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রায় ৩ মাস ধরে জেরা চলছে। আর মাত্র ৯ আসামির পক্ষে এই সাক্ষীকে জেরা সম্পন্ন হলেই মামলাটির সাক্ষ্য-জেরা গ্রহণ শেষ হবে। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল উত্থাপন ॥ উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে দেশের সরকারী ও বেসরকারী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমকে এ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের বিধানের প্রস্তাব করে সংসদে ‘বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল বিল-২০১৭’ উত্থাপন করা হয়েছে। রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনে আপত্তি আনলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বিলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে এ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রযোজ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলের বিধানাবলী কার্যকর হবার পর সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল নামে একটি সংবিধিবদ্ধ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। কাউন্সিলের কার্যালয় ঢাকায় রাখারও প্রস্তাব করা হয়। বিলে একজন চেয়ারম্যান, চারজন পূর্ণকালীন সদস্য এবং আটজন খ-কালীন সদস্য সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়। এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংসদে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৫ উত্থাপন করেছেন।
×