অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পুরান ঢাকায় নকল করে তৈরি করা হচ্ছে বিদেশী ব্র্যান্ডের সব প্রসাধনী। পরিত্যক্ত প্রসাধনী বোতলে নতুন রূপ দিয়ে দেদার চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। প্রশাসন বলছে, অভিযানের মাধ্যমে এ ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীকে প্রতিহত করা হবে। এদিকে স্কিন ক্যান্সারসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়াতে দেশীয় ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর ব্যবহারের পরামর্শ চিকিৎসকদের।
সৌন্দর্য্যরে ভাষা জনে জনে আলাদা, তবে অভিন্ন তার উপকরণ। তাই বাহারি রং এর বিভ্রান্তি এড়াতে ভরসা কাছের মানুষটি। কিন্তু মানানসই এ পণ্যের মান ঠিক আছে তো! এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায়।
তেল, শ্যাম্পু, ফেসওয়াশ। বিশ্বের সেরা সেরা ব্র্যান্ডের হাজার হাজার ভোক্তার পছন্দের সব পণ্য। অপেক্ষা কেবল বাজারজাতকরণের। তারপরই বিশ্ব খ্যাত ব্র্যান্ডের সিল স্বাক্ষরে ‘মেড ইন আরমানিটোলার’ এই পণ্যগুলো পৌঁছে যাবে ভোক্তাদের কাছে। ব্যবহার করা পরিত্যক্ত বোতলে নতুন রূপ দেয়ার গল্প আরও বিচিত্র।
নকল প্রসাধনী প্রস্তুতকারী এক কর্মী জানান, ‘পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে রংটা করা হয়। যদি পাতলা হয়ে যায় তাহলে ঘন করার জন্য অল্প করে লবণ দেয়। এগুলো বড় বড় মার্কেটেও সাপ্লাই দেয় আবার চকবাজারেও দেয়।’
পাশের ফ্ল্যাটের অন্ধকারের গল্প নাগরিক ব্যস্ততায় অজানা থেকে যায় প্রতিবেশীদের। ক্রেতারা বলছেন, দাম কম হওয়ার কারণে ফুটপাথই তাদের প্রথম পছন্দ। আর ফুটপাথ, শপিংমল দুই বিক্রেতার কাছে নিজেদের পণ্যের মান আকাশ ছোঁয়া। একজন ক্রেতা জানান, দুই বা আড়াই শ’ টাকার পণ্য মাত্র ৩০ বা ৪০ টাকায় পাচ্ছি।
ফুটপাথের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘কসমেটিকসের যত ব্যবসায়ী আছে সবাই একই জায়গা থেকে মাল আনে। আমরা লাভ করি দুই টাকা উনারা লাভ করে অনেক বেশি।’ এক দোকানি বলেন, ‘আমরা সবাই চকবাজার থেকে কিনি। সেখানে কয়েকটা মার্কেটও আছে আলাদা যেখানে ভাল জিনিস পাওয়া যায় আবার খারাপ জিনিসও পাওয়া যায়।’ তবে নকল প্রসাধনী নিয়ন্ত্রণে নিজেদের তৎপরতার কথা বলছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম সারোয়ার। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি প্রসাধনীর রাসায়নিক উপাদানের মান এবং অনুপাত যাচাই করা আবশ্যক। এদিকে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. এসএম বখতিয়ার কামাল বলেন, ‘এসব পণ্য ব্যবহার করলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হয়।