ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জিটুজি ভিত্তিতে আমদানি করা এই গমের প্রথম চালান চলতি সপ্তাহেই দেশে এসে পৌঁছাবে

রাশিয়া থেকে ২ লাখ টন গম কেনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

রাশিয়া থেকে ২ লাখ টন গম কেনা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারী উদ্যোগে রাশিয়া থেকে ২ লাখ টন গম আমদানি করা হবে। জিটুজি ভিত্তিতে আমদানি করা এই গমের প্রথম চালান চলতি সপ্তাহেই দেশে এসে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছেন সরকারের শস্য ক্রয় এজেন্সির প্রধান বদরুল হাসান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের শস্য ক্রয় এজেন্সির প্রধান জানান দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ গম ক্রেতা হিসেবে মজুদ বাড়াতেই এ বিপুল পরিমাণ গম আমদানি করছে সরকার। তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরে ৫ লাখ টন গম আমদানির পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর মধ্যে রাশিয়া থেকেই আনা হবে ২ লাখ টন। দেশটি ইতোমধ্যে জাহাজে করে বাংলাদেশে গম পাঠানোর সব প্রক্রিয়া শেষ করছে। বদরুল হাসান জানান, আগামী সপ্তাহে রাশিয়ান ওই গমের প্রথম চালানে ৫৫ হাজার টন গম বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে। সরকারের শস্য ক্রয় এজেন্সির প্রধানের দেয়া তথ্য মতে, প্রতিটন গত আমদানি করতে খরচ পড়বে শিপিং ও ইন্স্যুরেন্সসহ ২৪৫ ডলার। যেখানে আমদানি খরচসহ মার্কিন গমের বর্তমান বাজারমূল্য ২১৬ ডলার। মূলত ভারত থেকে শস্য আমদানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলের দিকে ঝুঁকেছে। এদিকে রাশিয়া থেকে এই গম আমদানির কারণে আগামী দুই এক মাসের মধ্যে নতুন করে গম কেনার কোন দরপত্র আহ্বান করা হবে না বলে জানান বদরুল হাসান। যদিও চলতি বছরের শুরুর দিকে নিম্নমানের দেড় লাখ টন গমবাহী তিনটি রুশ কার্গো ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তারপরও দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ গম ক্রেতা হিসেবে মজুদ বাড়াতেই দেশটি থেকে আবার গম কেনার চুক্তি করেছে সরকার। এর আগে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত ২ লাখ টন গম নিম্নমানের হওয়ায় অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। এরপর দরপত্রের বিবরণীর সঙ্গে না মেলায় ২০১৫ সালে ফ্রান্স থেকে আনা ১ লাখ ২৫ হাজার টন গম ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ লাখ টন গম উৎপাদন হয়। দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টন গম আমদানি করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও জীবনধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গমের চাহিদাও বাড়ছে।
×