ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার ঢেউ বিশ্বব্যাংকে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

পদ্মার ঢেউ বিশ্বব্যাংকে

সংসদ রিপোর্টার ॥ বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধের জন্য বিশ্বব্যাংককে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রবিবারের সংসদ অধিবেশন। সরকার ও বিরোধী দলের সিনিয়র নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হয়েছে, দেশকে বিশ্বের সামনে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এজন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য যাঁদের নামে অভিযোগ তুলেছিল তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্ব ব্যাংকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে হবে। আর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ যারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা দেশের শত্রু, দেশদ্রোহী। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে আগামীতে কেউ দেশ ও দেশের জনগণের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করার দুঃসাহস না পায়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই পদ্মা সেতু নিয়ে কানাডার আদালতের রায় নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত বিতর্কের সূত্রপাত করেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। এ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সরকারী দলের শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল মান্নান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল ও জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে এই অনির্ধারিত বিতর্ক শুরু হয়ে মাঝে ২০ মিনিটের বিরতি শেষে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত চলে। আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির ভুয়া অভিযোগে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সংসদে দাঁড়িয়েই দীপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন, নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করা হবে। বিশ্বব্যাংককেই দুর্নীতির প্রমাণ দিতে হবে। সেই চ্যালেঞ্জে প্রধানমন্ত্রী সফল হয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যেমন কারও কাছে মাথানত করেননি। তেমনি তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনাও বিশ্বব্যাংকের কাছে মাথানত না করে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করছেন। তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৎকালীন মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়েছে আবুল হোসেন সত্যিই নির্দোষ, একজন দেশপ্রেমিক। তিনি বলেন, কানাডার আদালত রায়ে বলেছে, গুজবের ভিত্তিতে এ অভিযোগটি আনা হয়েছে। এটা ছিল দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কিছু লোক আছে, উন্নয়নমূলক কাজ নিলেই বিরোধিতা করে। পদ্মা সেতু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ উপকৃত হবে, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। যারা পদ্মা সেতু নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করেছে, দেশকে বিশ্বের সামনে হেয় করেছে তারা দেশের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্মাণ করতে চেয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের এত শক্তি নেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে হেয় করতে পারে। টিআইবিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এ সংস্থাটি বলে বিশ্বব্যাংকের কাছে কৈফিয়ত চাইতে। আমরা চাইব কেন, তারা কেন চান না। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে মূল কলকাাঠি নেড়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদের কারণে সৈয়দ আবুল হোসেনসহ অনেককে কী যন্ত্রণা, অপমান সহ্য করতে হয়েছে। এই ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের ৫ বছরের বাড়ি ভাড়া বাকি রেখেই চলে গেছেন। এ ব্যক্তিটি বড় বড় কথা বলেন, হিতোপদেশ দেন- কিন্তু তিনি তাঁর আরেকটি মেয়ের কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন। এটা তাঁর কেমন ধরনের নৈতিকতা? বিশ্বব্যাংকসহ সব সংস্থাগুলোকে অনুরোধ, পাথরের চোখ দিয়ে চলবেন না, ঘুষখোরদের কথায় চলবেন না। আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, অথচ বিশ্বব্যাংক নিজেরাই করাপ্ট (দুর্নীতিবাজ)। তারাই দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পদ্মা সেতু ছিল আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ। ওই সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন- দুর্নীতির কারণেই বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে। এ কারণে সরকারের পদত্যাগও চেয়েছিলেন। এখন কী জবাব দেবেন খালেদা জিয়া? মিথ্যা অভিযোগের কারণে খালেদা জিয়ারই পদত্যাগ করা উচিত। তিনি বলেন, বারবার দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে, এখনও হচ্ছে। বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উত্থান ও অগ্রগতি দেশী-বিদেশী অনেক অপশক্তি সহ্য করতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রীকে হেয় ও ছোট করার জন্য ড. ইউনূস অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন। সে একজন অকৃতজ্ঞ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই ব্যক্তিকে আমরা গ্রামীণফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলাম। জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনদিন যাননি এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তিটি। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও বিরাজনীতিকরণ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। আজ বিশ্বব্যাংকের মিথ্যাচার প্রমাণ হয়ে গেছে। এখন রামপাল নিয়েও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তিনি আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা করুন, খরচ আমরা দেব। আর ড. ইউনূসসহ আর যারাই জড়িত তাদের সংসদে তলব করে ব্যাখ্যা চাইতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বিশ্বব্যাংকের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন এবং নিজ অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণের কাজ শুরু করে মিথ্যা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। কানাডার আদালতে এ অভিযোগ ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। তাই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের তরফ থেকে মামলা করতে হবে। কারণ এরা গোটা রাষ্ট্রকে অপমান করেছে, হেয়প্রতিপন্ন করেছে। আর যেসব গণমাধ্যমে সে সময় মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে ঝড় তুলেছিলেন, তাদের উচিত আত্মসমালোচনা করা। এ নিয়ে সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানোরও দাবি জানান তিনি। শেখ ফজলুল করিম সেলিমও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, এটা ছিল বাংলাদেশ, স্বাধীনতা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। বর্তমান সরকারকে জাতির সামনে হেয় করার ষড়যন্ত্র ছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করেছিল অর্থায়ন বন্ধ করলে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারবেন না। কিন্তু তারা জানে না, শেখ হাসিনা ভাঙ্গবেন, তবুও মচকাবেন না। এখন একটি নয়, ১০টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করার মতো বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত করেছেন। এই ষড়যন্ত্র করার কারণে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের লোকসান হয়েছে, বিশ্বব্যাংককে তা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে। যেসব কথিত বুদ্ধিজীবী তখন দেশবিরোধী কর্মকা-ে লিপ্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এরা বুদ্ধিজীবী না, চুক্তিজীবী। বিদেশের টাকা খেয়ে দেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করছেন। ড. ইউনূস, হিলারি ক্লিনটন ও দেশের একজন সম্পাদক বিশ্বব্যাংকে যেয়ে এই অর্থায়ন বন্ধ করিয়েছেন। গায়ে ফতুয়া পরে, অথচ বিমানে ফার্স্টক্লাস ছাড়া ভ্রমণ করেন। দেশের মানবতার পক্ষে কোন কাজ করেননি, অথচ তাঁকেই দেয়া হলো নোবেল পুরস্কার। এরা দেশ, স্বাধীনতা ও জনগণের শত্রু। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ ঘটনায় আমি একজন চাক্ষুষ সাক্ষী। মিথ্যা অভিযোগের পর বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা দেশের কার বাড়িতে ডিনার খেয়েছিলেন, সেখানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন আমরা তা জানি। তদন্তের আগেই তারা সৈয়দ আবুল হোসেনকে জড়ানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ শুনলাম কানাডার একটি আদালতে নাকি মামলা হয়েছে। দুদকের চিফ কাউন্সিলর হিসেবে কানাডার টরোন্টতে যাই। আমরা যাকে আসামি করেছিলাম, তাকে চুপিসারে সেখানে নিয়ে গিয়ে জবানবন্দী নিয়েছে। ওই ব্যক্তিটিও তার জবানবন্দীতে বলেছে এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী কিংবা সৈয়দ আবুল হোসেন জড়িত নন। আদালতে সাক্ষীরাও বলেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোন দুর্নীতি হয়নি। আদালতও বলেছে- অভিযোগটি সম্পূর্ণ ‘ভোগাস’। এর জন্য বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের কাছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কাছে মাফ চাইতে হবে। আর ক্ষতিগ্রস্তরা ইচ্ছে করলে আইনী ব্যবস্থা নিতে পারে। বাংলার মানুষ আজ দেখতে পেয়েছে শেখ হাসিনার কত দৃঢ়চিত্ত, শেখ হাসিনার আত্মমর্যাদা প্রখর তাও প্রমাণ হয়েছে। জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের কিছু ব্যক্তি আছে বিদেশে টাকা নিয়ে এয়ারকন্ডিনেশনে বসে জাতিকে হেদায়েত করেন। দুর্নীতির গন্ধ শুকেন। তাদের সঙ্গে জনগণের কোন সম্পর্ক নেই। এরা নির্বাচনের মাঠে গেলে কমিশনার পদেও নির্বাচিত হতে পারবেন না। একমাত্র রাজনীতিবিদরাই দেশ ও জাতির ব্যথা-বেদনা বুঝেন, দেশের উন্নতি করতে পারেন। কিন্তু এসব জ্ঞানপাপীরা দেশের ক্ষতি করে। তারা বুদ্ধিজীবী নন, বুদ্ধিজীবীর লেবাস পরে আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। একজন ড. ইউনূস বা ড. কামাল নয়, আরও অনেকে এর সঙ্গে জড়িত আছে। এরা দেশদ্রোহীমূলক কর্মকা- করছে। যারা দেশদ্রোহীমূলক কর্মকা- করছে, অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জাতির সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত। নইলে ভবিষ্যতে জাতির কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সমস্ত বিশ্বে শেখ হাসিনার দৃঢ়চিত্ত অবস্থান আগামীতে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্ব ব্যাংকের ‘বিশ্ব’ শব্দটি বাদ দেয়া উচিত। বাঙালী ও বাংলাদেশ ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দিয়ে এসেছে। একথা বুঝতে পারলে বিশ্বব্যাংক এমন ঔদ্ধত্য দেখাতে পারত না। অন্যায়ভাবে একটি জাতিকে হেয়প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ ও বিচার অবশ্যই করতে হবে। ড. ইউনূস চাঁটগাইয়া, আমিও চাঁচগাইয়া। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বাদী হতে আমি এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন হতে রাজি আছি। অনির্ধারিত বিতর্কের সূত্রপাত করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, আদালতের রায় প্রকাশের পর তৎকালীন মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন, আমাকে জাতিকে হেয় করে কী লাভ হলো। ওই সময় ষড়যন্ত্র করা না হলে এরই মধ্যে আমরা পদ্মা সেতু দিয়ে যেতে পারতাম। গোটা জাতি ও দেশ যেখানে উপকৃত হবে, এর বিরুদ্ধে কারা ক্যানভাসে নেমেছিল? যারা এতবড় দেশ ও জনগণের ক্ষতি করা হলো- তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হলো কেন? দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলো আমরা খুশি হবো। সরকারী দলের আবদুল মান্নান বলেন, ষড়যন্ত্র করে পদ্মা সেতু নির্মাণ পিছিয়ে দেয়ার কারণে এর নির্মাণ ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে। এজন্য সরকারের উচিত বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা। উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনেরও উচিত ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার কারণে মামলা করা। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা। বিএনপিকে মহাসচিবকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, এ ঘটনার পর সরকারের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করেছিলেন। রায়ের পর এখন তাঁরও উচিত জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়া। ডাঃ দীপু মনি বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের নেপথ্যের কুশীলবদের মূল টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে হেয়প্রতিপন্ন আর তাঁর সরকারকে অপসারণের চেষ্টা করেছে। এই ড. ইউনূস ওয়ান ইলেভেনের সময় মাইনাস টু এবং রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের মূল নায়ক একজন খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী বলেছিলেন আজীবন শেখ হাসিনাকে কারাগারে আটকে রেখে দুর্নীতি খোঁজ হোক, নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। সেখানেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংকে অবশ্যই শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
×