ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রসূল

এ কোন্ অন্ধকারের দিকে চলছি?

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

এ কোন্ অন্ধকারের দিকে চলছি?

১০ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দৈনিক জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার শিরোনাম প্রশ্নের মুখে সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি। চলতি শিক্ষা বছরের পাঠ্যবইয়ে মৌলবাদীদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী যে ভয়াবহ পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছে। সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে পাঠ্যবই নিয়ে মৌলবাদীদের দাবিকে ‘ভুল’, ‘অযৌক্তিক’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, ‘অতিরঞ্জিত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই স্পষ্ট ও সতর্কতামূলক রিপোর্ট দেয়ার পরও কার অঙ্গুলি হেলনে পাঠ্যবইয়ে নির্লজ্জ হেফাজতীকরণ করা হলো, সেটাই এখন খতিয়ে দেখার বিষয়। পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নতুন বছরের শুরু থেকেই নানা কর্মসূচী পালিত হতে থাকে। এতে দেশজুড়ে বর্তমান সরকারের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তদন্তের নামে দুই মন্ত্রণালয় সময় পার করলেও দৃশ্যত কোন উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে না। উল্টো হেফাজতে ইসলাম ও চরমোনাইয়ের পীরের মতো উগ্র ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক কিছু গোষ্ঠী সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছে। শিক্ষা বছরের প্রায় দুই মাস চলে গেলেও এ বিষয়ে কোন ত্বরিত পদক্ষেপ আমরা দেখছি না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সাম্প্রদায়িক পাঠ্যপুস্তক দিয়েই সরকার শিক্ষাবর্ষটি পার করে দেবে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকার পরও হেফাজতের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ধর্মান্ধ রাজনীতির সঙ্গে আপোস করার মূল কারণটি কি? তাহলে কি ধরে নিতে হবে সময়ের বিবর্তনে রক্ষকও ভক্ষকে পরিণত হয়! জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক তৈরিকৃত সেই রিপোর্টটির নাম এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচীর ভুল নিয়ে হেফাজতে ইসলামসহ কট্টর ইসলামী দলসমূহের চলমান আন্দোলন। চার পাতার সেই রিপোর্টে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তনে হেফাজতের দাবিগুলো ও তার অসারতাও দেখানো হয়েছে। কিন্তু এতসব করেও পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমূলক ষড়যন্ত্র বন্ধ করা যায়নি। তার মানে, পুরো বিষয়টির পেছনে কোন শক্তিশালী অপগোষ্ঠী কাজ করছে, যারা বসে আছে সরকারেরই নানা দায়িত্বপূর্ণ চেয়ারে। কিন্তু বর্তমান সরকার কি এর ভবিষ্যত পরিণামগুলো একবার ভেবে দেখেছে? পাঠ্যপুস্তক কেবল শিক্ষাক্রমানুসারে সাজানো কিছু গ্রন্থই নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। যেহেতু বইগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রমেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেহেতু শিক্ষার্থীরা সেগুলো পড়বেই। এত শক্তিশালী একটি মাধ্যমের সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন সবই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাঠ্যপুস্তকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র যেমন জ্ঞানের পথে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেয়, তেমনি নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় সম্বন্ধে সম্যক ধারণা দেয়। উগ্র ধর্মভিত্তিক কিছু দলের মধ্যযুগীয় দাবি অনুসারে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত রাজনীতির সমাধিস্থল নির্মাণেরই নামান্তর। ॥ দুই ॥ পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমূলক ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সরকারের কাছে যে তেমন গুরুত্ব বহন করছে না, তা দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চারপাশের নানামুখী প্রতিবাদ, সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবাদলিপিÑ কোন কিছুই যেন তারা কানে তুলতে চাইছেন না। তদন্ত কমিটি, প্রেস ব্রিফিং, ধামাচাপা বক্তব্য, দায়িত্ব না নেয়া, পারস্পরিক দোষারোপÑ এগুলোর মধ্যেই গোটা বিষয়টি আটকে আছে। সরকার কিসের আশায় জেগে ঘুমানোর ভান করছে সেটা তারাই ভাল বলতে পারবেন; কিন্তু এই ন্যক্কারজনক ঘটনার আড়ালের রাজনীতিটা একদিন বিষাক্ত সাপের মতো তাদেরই দংশন করবে। পাঠ্যসূচী সংশোধন ও শিক্ষা আইন বাতিলের দাবিতে গত বছরের ২১ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্রসেনা, ইসলামী ছাত্রসমাজসহ আরও কিছু ধর্মভিত্তিক উগ্র সন্ত্রাসী দল বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে। জামায়াতে ইসলাম ও ইসলামী ছাত্রশিবিরও বিভিন্ন সময় এসব দাবি তুলেছে। সুতরাং এই ষড়যন্ত্রের মূলে থাকা রাজনীতিটা আসলে তুলে ধরা দরকার। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রানুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য মোট ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক পাঠ্যবই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যে পৌঁছে দেয়া নিশ্চিতভাবেই সরকারের একটি বড় সাফল্য। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সরকারের এই সফলতার কাঁধে বন্দুক রেখে অপরাজনৈতিক শিকার করে যাচ্ছে মৌলবাদী ও উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তক বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম। পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের মনোজগতের ইতিবাচক বা নেতিবাচকÑ দু’ধরনের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। বাংলাদেশ কোন্্ রাজনৈতিক ইতিহাসের পথ অনুসরণ করছে, কেন করছে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে আমাদের রাজনৈতিক শিক্ষা কী হবেÑ তার পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব এই পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমেই। সুতরাং এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ সরকারের কেবল সাংবিধানিক একটি দায়িত্বই নয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের একটি রাজনৈতিক লড়াইও। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে শক্তি শিক্ষার্থীদের মনোজগতে সে শক্তির আধিপত্য তৈরি করাও একটি বড় রাজনৈতিক লড়াই। কেননা, এই শিক্ষার্থীরাই আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের মগজে যেন মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ বা উগ্র ধর্মান্ধ কোন চেতনার বিস্তার না ঘটেÑ সেদিকে লক্ষ্য রাখাটাও আমাদের রাজনৈতিক সচেতনতার অংশ হওয়া উচিত। কিন্তু সে লড়াইয়ে সরকারের বর্তমান কার্যক্রম আত্মহত্যারই শামিল। অতীতে আমরা দেখেছি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বিএনপি-জামায়াত শক্তি কিভাবে পাঠ্যপুস্তককে ব্যবহার করেছে তাদের রাজনৈতিক অপদর্শন বাস্তবায়নের জন্য। কেউ যদি বলেন তারা সফল হয়নি, তাহলে সেটা ভুল। বিএনপি-জামায়াত যে কৌশলে পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে, তার ভয়াবহ প্রভাব আমরা লক্ষ্য করেছি আমাদেরই ছাত্রজীবনে। স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মৌল প্রশ্নগুলো নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সুতরাং এটি ভুলে গেলে চলবে না, পাঠ্যপুস্তকও রাজনীতির বাইরে নয় এবং অতীতে পাকিস্তানপন্থী রাজনীতির বীজ এই পাঠ্যপুস্তক দিয়েই বপন করেছিল বিএনপি-জামায়াত। এখন প্রশ্ন হলো, আওয়ামী লীগ কি করছে? চলতি শিক্ষাবর্ষের বইগুলোতে পরিবর্তন এত বেশি সাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যমূলক যে, এটা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছেÑ এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। উগ্র ধর্মান্ধ সংগঠন হেফাজতে ইসলামের লিখিত প্রস্তাবের সবকিছু মেনে নিয়ে ২৯টি বিষয় সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেভাবে একটি একক ধর্মকে (ইসলাম) প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, তা আমাদের রাষ্ট্রীয় চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মুক্তিযুদ্ধের গল্প (রণেশ দাশগুপ্তের মাল্যদান) পর্যন্ত বাদ দেয়া হয়েছে এই মৌলবাদীদের কথায়। তাহলে কাদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ? আওয়ামী লীগ নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি, পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে এই মৌলবাদীদের সঙ্গে নিয়েই সামরিকতন্ত্র আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আদর্শের জোরেই তারা টিকে ছিল এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় এসেছে। যে আদর্শ ক্ষমতায় না থাকলেও আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখেÑ সেটাই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের আদর্শ। আজ পাঠ্যপুস্তকে মৌলবাদীদের দাবি মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগ ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর অপরাজনীতি প্রতিষ্ঠা করছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ‘মুসলমানের বাংলাদেশ’ বানানোর যে হীন চক্রান্ত পঁচাত্তরের পর থেকেই শুরু হয়েছে, দুঃখজনক হলেও সত্য, আওয়ামী লীগের আমলে পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে তা বেশ ভালভাবেই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এটা ট্র্যাজিডি না আত্মপ্রবঞ্চনা? এই পাঠ্যপুস্তক শিশুদের মননে কী প্রভাব ফেলবে, তাদের কোন্্ মানসিকতায় বড় করে তুলবেÑ তা বুঝতে হলে মনস্তত্ত্ববিদ হতে হয় না। এরা একটি চূড়ান্ত বৈষম্যমূলক মানসিকতায় বড় হচ্ছে। ধর্ম, লিঙ্গ, জাতি ইত্যাদি গৌণ ভেদাভেদই এদের কাছে মুখ্য করে তুলছে এই পাঠ্যপুস্তক। পক্ষান্তরে হারিয়ে যাচ্ছে ‘মানুষ’ পরিচয়ের গর্ব। বস্তুত এদের মনোজগত থেকে নির্বাসিত হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা, সাম্য ও মানবিক মর্যাদাবোধ। কী আশ্চর্য! এগুলোই ছিল আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মূল স্তম্ভ। কার রাজনীতি তবে ফুলে-ফেঁপে উঠছে? চলতি শিক্ষাবর্ষের যে পাঠ্যপুস্তক তা ভবিষ্যতে কতগুলো নিবরাস, কতগুলো হলি আর্টিজানের জš§ দেবেÑ সরকার সেগুলো হিসাবের খাতায় টুকে রাখছে তো? ॥ তিন ॥ জনকণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শেষ দুটি অনুচ্ছেদ খুব গুরুত্বপূর্ণ। এনসিটিবির বিভিন্ন পদে থাকা হিন্দু কর্মকর্তাদের সরিয়ে ফেলার এবং পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদের প্রবেশ ঠেকানোর যে অসাংবিধানিক ও অযৌক্তিক দাবি হেফাজতে ইসলাম তুলেছে, তা আমাদের পাকিস্তান পর্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ ধরনের শব্দচয়নই পাকিস্তানী ভাবাদর্শের প্রতিফলন। রাষ্ট্রের নাগরিকদের ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ ইত্যাদি পরিচয়ে ভাগ করার যে অপরাজনীতি, তা বহুদিন ধরেই জামায়াত-শিবির ও অন্যান্য ধর্মীয় উগ্রপন্থী দল করে আসছে। সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটিয়ে তারা সব সময়ই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা করেছে, এখনও করছে। এদের নির্মূলে একদিকে যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিরো টলারেন্স প্রয়োজন, তেমনি আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে এদের মোকাবেলা প্রয়োজন। এদের কথামতো পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকীকরণ করে সরকার আসলে নিজের শক্তিটুকুই নিঃশেষ করছে। এত প্রতিবাদ, নিন্দা, গোয়েন্দা রিপোর্ট আর বিশিষ্টজনদের আশঙ্কা প্রকাশের পরও সরকারের নীরবতাই প্রমাণ করে, সরকারের কোথাও না কোথাও মৌলবাদের সঙ্গে একটি ভয়াবহ আপোসরফা হয়েছে। সেটা খুঁজে বের করা প্রয়োজন; কেননা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোন মৌসুমী রাজনৈতিক দল নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপ্রসূত অসাম্প্রদায়িক গণমুখী রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতেই এ দলটি গড়া। সঙ্কট মুহূর্তে এই আদর্শই আওয়ামী লীগকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছে। সুতরাং মৌলবাদ তোষণনীতি আওয়ামী লীগের কাজ নয়। এটা তার আদর্শের পরিপন্থী। দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষার পরিণতি আমরা পঁচাত্তরে দেখেছি। আর দেখতে চাই না। লেখক : গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী
×